লোহাগাড়ায় গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে ৪ অবৈধ ইটভাটা

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৯:৪৭ অপরাহ্ণ

উচ্চ আদালতের নির্দেশে লোহাগাড়ায় ৪টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব ইটভাটার চিমনি স্কেভেটরের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এসব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সহযোগিতা করেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার অবৈধ অন্যান্য ইটভাটাগুলো গুঁড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হলো লোহাগাড়ার পদুয়ায় বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন মো. শাহেদের মালিকানাধীন বিএবি, পশ্চিম কলাউজানের মালিপাড়ায় মো. সারওয়ারের মালিকানাধীন কেবিকে, একই এলাকায় মো. আইয়ুব কোম্পানির মালিকানাধীন পিএসবি ও চুনতি এলাকায় মো. ইয়াছিনের মালিকানাধীন সিবিএম।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র মতে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে লোহাগাড়াসহ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জনস্বার্থে গত ২৯ নভেম্বর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে উচ্চ আদালতে এক রিট দায়ের করা হয়।
গত ১৪ ডিসেম্বর রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের বেঞ্চ রুলসহ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সাত দিনের সময় দেয়।
উচ্চ আদালতের আদেশে একই সঙ্গে বৈধ ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার, পাহাড়ি ও কৃষি জমির মাটি কেটে ব্যবহারকারীদের তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন জানান, লোহাগাড়ায় অর্ধশতাধিক ইটভাটা রয়েছে।
এর মধ্যে এ বছর কয়েকটি ভাটায় ইট পোড়ানো বন্ধ রয়েছে। যেসব ইটভাটা চালু রয়েছে সেগুলের মধ্যে কোনোটির বৈধতা নাই। সব ইটভাটা অবৈধ। লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ কোনো ধরনের কাগজপত্র নাই। এসব ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে আবাদি জমি ও পাহাড়ের মাটি কাটার অভিযোগও রয়েছে।
কিছু কিছু ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। অবৈধ সব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ অভিযান পুরো চট্টগ্রামে চালানো হবে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক জানান, আজ পুরোদিন অভিযান চালিয়ে ৪টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এসব ইটভাটার কোনো লাইসেন্স নাই। পরিবেশ ছাড়পত্রও নাই। এছাড়া কৃষি জমি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটাগুলো চলছিল। ভাটায় ইট তৈরির কাজে আবাদি জমির মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ভাটার পার্শ্ববর্তী এলাকায় জনবসতি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুল রয়েছে।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী, র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার ও পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার পরিচালক মো. জমির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাপ্তাইয়ে অপহৃত যুবলীগ নেতা পাইওখ্যাই উদ্ধার হননি ৫ দিনেও
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে প্লাস্টিকজাত বস্তা ব্যবহার করায় ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা