মাঠে নামতেই হোঁচট খেলেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১৫ (লোহাগাড়া–সাতকানিয়া অংশিক) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিন। গতকাল শনিবার বিকেলে লোহাগাড়া উপজেলা সদর বটতলী স্টেশনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তাকে অর্ধলাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মং এছেন।
জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আসনে নাজমুল মোস্তফা আমিনকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করেন। এরপর তিনি গাড়িবহর ও মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে প্রথমবার নির্বাচনী এলাকায় এসেছেন। চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়কের দোহাজারী সাঙ্গু নদীর ব্রিজ এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা তাকে বরণ করে নেন। গাড়িবহর ও মোটরসাইকেল শোডাউনের কারণে মহাসড়কের তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যার ফলে দূরপাল্লার যাত্রী ও সাধারণ জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর চট্টগ্রামে এই প্রথম কোনো প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় জরিমানা গুণতে হয়েছে। পরে উপজেলা সদরে ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম স্টেডিয়ামে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে যোগ দেন তিনি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মং এছেন জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার নির্দেশে ওই প্রার্থীকে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী আচরণ বিধিমালা–২০২৫ এর ৯ ধারা লঙ্ঘন ২৭(ক) করায় অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আচরণবিধি কঠোভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কোনো প্রার্থী বা তার সমর্থক আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিন জানান, দলীয় নেতাকর্মীদের দোয়া মাহফিলে যোগদান করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই আসনে ধানের শীষের প্রতীক পাওয়ার পর থেকে জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত ও আবেগে উদ্বেলিত। এটিই তার প্রমাণ। আমরা নিষেধ করার পরও দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ যেভাবে রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে উচ্ছাস নিয়ে বরণ করার কারণে কিছুটা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। উচ্ছ্বসিত জনগণকে সামাল দিতে না পারায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ধার্য্যকৃত জরিমানা পরিশোধ করা হয়েছে।












