লোডশেডিং : সূচি ঠিক রাখতে পারছে না পিডিবি

প্রতিটি সাব স্টেশনের আওতাধীন এলাকায় দিনে রাতে ৫ থেকে ৮ বার যাচ্ছে বিদ্যুৎ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১২ মে, ২০২৩ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

এমনিতেই তীব্র গরম, তার মধ্যে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অস্থির সাধারণ মানুষ। চট্টগ্রামে পিডিবির ১৬টি বিতরণ বিভাগের অধীনস্থ এলাকাগুলোতে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সমান তালে চলছে লোডশেডিং। লোডশেডিং সূচি ঠিক রাখতে পারছে না পিডিবি। চমেক ও জেনারেল হাসপাতালসহ কিছু ভিআইপি এলাকা ছাড়া প্রতিটি সাব স্টেশনের আওতাধীন অন্যান্য এলাকায় দিনে রাতে পাঁচ থেকে আটবার বার পর্যন্ত বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে তা স্থায়ী হয় ৩০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত। পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের গত বুধবারের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ রোস্টারে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের সবগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদন হয়েছে ১৩১৭ মেগাওয়াট। চট্টগ্রামের এখন পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ১৪৫০ মেগাওয়াট। কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে পাওয়া যাচ্ছে ১২০৪ মেগাওয়াট। পিডিবির তালিকা অনুযায়ী পিক আওয়ারে চট্টগ্রামে লোডশেডিং ২৪৬ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় ঘাটতি বেশি থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে।

হেমসেন লেইন এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির মাসুদ বলেন, অনেক সময় ভোর ৬টা থেকে লোডশেডিং শুরু হয়। আবার রাত আড়াইটাতিনটার দিকেও দেখা যায় বিদ্যুৎ চলে গেছে। লোডশেডিংয়ের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। একবার চলে গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসে না। সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বিদ্যুতের সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং চলছে আন্দরকিল্লা, খলিফাপট্টি, ঘাটফরহাদবেগ, হেমসেন লেইন, লাভ লেইন, রহমতগঞ্জ, জামালখান, মোমিন রোড ঝাউতলা, চকবাজার, কাপাসগোলা, বহদ্দারহাট, খতিবের হাট, এনায়েত বাজার, কাজীর দেউড়ি, লালখান বাজার, চান্দগাঁও, সিরাজদ্দৌলা রোড, সাব এরিয়া, দেওয়ানবাজার এলাকায়। বাপ্পী নামে রহমতগঞ্জ এলাকার এক যুবক ফোনে আজাদীকে জানান, গতকাল ভোর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের এলাকায় ৬ বার বিদ্যুৎ চলে গেছে। লাভ লেইন এলাকার দেলোয়ার জানান, একবার বিদ্যুৎ গেলে অনেক সময় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত আসে না। এক দিকে তীব্র গরমে অস্থিরতা বেড়েছে। তার মাঝে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বাসায় থাকা যাচ্ছে না, ঘুমানো যাচ্ছে না। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সাথে পানির সংকটও বেড়েছে। নগরীর লালখান বাজার ও কাপাসগোলা এলাকার অনেক বাসিন্দা পানির জন্য তাদের দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন।

এদিকে বিদ্যুৎ সংকট এবং হালদায় লবণাক্ততার কারণে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পানি উৎপাদন অনেক কমিয়ে দিয়েছে। এই জন্য নগরীতে অনেক এলাকায় রেশনিং করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখালেদ মোশাররফ সহ তিন সেনা কর্মকর্তা হত্যায় ৪৮ বছর পর মামলা
পরবর্তী নিবন্ধমোখা নামটি যেভাবে এলো