লোডশেডিং এর বিকল্প হতে পারে নবায়নযোগ্য জ্বালানি

আবু সালেহ জুবায়ের | মঙ্গলবার , ২৩ আগস্ট, ২০২২ at ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বের সবচাইতে পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ এর একটি হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ। বাংলাদেশের বেশির ভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো প্রধানত প্রাকৃতিক গ্যাস নির্ভর। সময়ের সাথে সাথে জীবাশ্ম জ্বালানি বিভিন্ন উৎস যেমন প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, খনিজ তেল ইত্যাদির ব্যবহারের সাথে সাথে, নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস জলবিদ্যুৎ, বায়ু শক্তি, সৌরশক্তি ইত্যাদি ব্যবহারের সাথে সাথে নিঃশেষ হয় না। সৌর প্রযুক্তি নিয়ে মানুষের চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছিল ১৮৬০-এর দশকে প্রাথমিক পর্যায়ে, ১৯৭৪ সালে উত্তর আমেরিকার ৬টি বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। ২০১৬ সাল নাগাদ বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদিত, হয়। সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হচ্ছে চীনে। ধারণা করা হচ্ছে ২০৫০ সালের সালের মধ্যে বিশ্বের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২৭% সৌর বিদ্যুৎ থেকে আসবে। সৌর শক্তি পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। এই নবায়নযোগ্য শক্তি একবার ঘরে বা বাণিজ্যিক ভাবে লাগানোর পর তেমন কোনো রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য অর্থ খরচ, করতে হয় না। সৌর শক্তির ক্ষেত্রে শুধু এর ব্যাটারীর পানির প্রয়োজন হয়। তাছাড়া সূর্যের আলো, অধিক হারে সঞ্চয় করার জন্য প্রয়োজন হয় উন্নতমানের সোলার ব্যাটারী। বাংলাদেশের মানুষের, চাহিদা অনুযায়ী দীর্ঘ সময় ধরে সুনামের সাথে নাভানা ব্যাটারীজ লিমিটেড উন্নত মানের ব্যাটারী তৈরি করে আসছে। তাই এই, পরিবেশ বান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সরকার ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কাঁচামাল অর্থাৎ সোলার প্যানেল, ব্যাটারী কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট কিছুটা কমাতে পারে। বাড়ির ছাদ, পতিত জমি, রেললাইনের পাশে ও বাড়ির জানালার পাশে সোলার প্যানেল বসানো যায়। তাই পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা অপরিসীম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স নিয়ে ষড়যন্ত্র না করবেন না
পরবর্তী নিবন্ধঈর্ষা