লুটেরা ব্যবসায়ীদের কারণে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ

পটিয়া উপজেলা সিপিবির সম্মেলনে বক্তারা

পটিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ৯ মার্চ, ২০২৪ at ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম বলেছেন, লুটেরা ব্যবসায়ীরা বাধাহীনভাবে রাষ্ট্রের সহায়তায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে লুটপাট করছে। মানুষ যেন আইনের আশ্রয় নিতে ও প্রতিবাদ করতে না পারে সরকার ইডেমনেটি দিয়ে রেখেছে।

তিনি বলেন, তেল দিয়ে সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাচ্ছে। এর জন্য প্রতি ইউনিটে ১৭ টাকা খরচ পড়ে। আর গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ পড়ে ৪ টাকার কাছাকাছি, কয়লায় পড়ে ৬ টাকা, গ্যাসে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ব্যবহার করছে কম। বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চলছে অধিক মাত্রায় আর সরকারি কেন্দ্রগুলো বসে আছে। গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয় না। বরং বর্তমান থেকে আরো কম দামে উৎপাদন ও মানুষের ব্যবহারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়। এখানেই রয়েছে শুভঙ্করের কারসাজি। যারা মানুষের ট্যাক্সের টাকা লোপাট করছে, এই গণদুশমন ও দেশের সম্পদ লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন ও গণ সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই। বার বার বিদ্যুৎগ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এটিই বর্তমান সরকার বছরের পর বছর পার করছে। গতকাল শুক্রবার সকালে পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) পটিয়া উপজেলা কমিটির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লাকী আকতার, সিপিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি অধ্যাপক কানাই লাল দাশ। সিপিবি পটিয়া উপজেলা সভাপতি অলক দাশের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মঞ্জুর সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন প্রকৌশলী সামশুদ্দিন আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিবি দক্ষিণ জেলার সভাপতি অধ্যাপক কানাই লাল দাশ, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান শহীদুল আলম। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক সমিতির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলক কুমার দাশ, সাবেক জেলা সভাপতি আহমদ নবী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘হার্ট সুস্থ রাখতে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে হবে’
পরবর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপে দিবা-রাত্রি নৌ যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে : এমপি মিতা