নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের লাগাম বলতে গেলে অনেকটাই বাংলাদেশের হাতে। ৬ উইকেটে ৪০১ রান তুলে গতকাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। তার আগে নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ায় ইতোমধ্যেই ৭৩ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন লিডটা ১৫০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া তাদের লক্ষ্য। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে অপরাজিত ছিলেন ইয়াছির আলি রাব্বি ও মেহেদি হাসান মিরাজ। শেষ বিকেলে এই দুজনকে ফেরাতে সব চেষ্টাই করেছেন টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, নিল ওয়াগনার, কাইল জেমিসন, রাচিন রবিন্দ্ররা। কিন্তু দুজনকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেননি। ৬৭ বল খেলে ৩১ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেছেন দুজন। মিরাজ ৩৮ বল খেলে ৪টি চারের সাহায্যে ২০ রান করে অপরাজিত। আর রাব্বি ৩৫ বলে ১১ রানে অপরাজিত। এর পরের ব্যাটসম্যানদের সবাই মূলত বোলার বলে চতুর্থ দিনে এই দুজনের দিকেই নিশ্চয় তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
গতকাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে খালেদ মাহমুদ সুজন বললেন, আমরা ৭৩ রানের লিড পেয়েছি। আমরা চেষ্টা করব চতুর্থ দিনে যতোটা বেশি সময় ব্যাটিং করতে পারি। আমরা আমাদের লিডটা ১৪০-১৫০ রানে নিয়ে যেতে চাই। তেমনটা হলে সেটা বেশ ভাল হবে আমাদের জন্য। বাংলাদেশের চারশ পার হওয়া সংগ্রহে বড় অবদান রেখেছেন নাজমুল হোসন শান্ত, মাহমুদুল হাসান জয়, মোমিনুল হক ও লিটন কুমার দাস। শান্ত করেছেন ৬৪ রান, জয় করেছেন ৭৮, মোমিনুল ৮৮, লিটন ৮৬ রান। চারজনের ব্যাটিংই মুগ্ধ করেছে খালেদ মাহমুদকে। তিনি বলেন, বিশ্বকাপের পর একটা প্রেসারে ছিল বটে, তবে লিটন আজ দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। সাবলীলভাবে রান করেছে। শান্ত ডমিনেট করে খেলেছে। জয় তো সময় নিয়েছে। ওকে দেখে তো মনেই হয়নি এটি তার দ্বিতীয় টেস্ট। এখানে আসার পর আমরা অনেক ভালো অনুশীলন করেছি। সেটা আসলে কাজে লেগেছে। মোমিনুল এবং জয় অনেক সময় নিয়ে ব্যাটিং করেছে। এই জিনিসটা দরকার ছিল আমাদের এই ম্যাচে টিকে থাকার জন্য।
টানা বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডে গিয়ে হঠাৎই ভালো খেলতে শুরু করেছে। সুজন বলেন এর আগে আমরা এখানে ১০টা টেস্ট ম্যাচ খেলে সবকটিতেই হেরেছি। ২০১৬ সালে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করার পরও আমরা হেরেছিলাম। তাই আমি সবাইকে বলেছিলাম যে আমরা তো বারবার হারতে পারি না। আমাদের একটা গ্রুপকে তো হাত তুলতে হবে। প্রতিরোধ গড়তে হবে। হারি-জিতি যাই করি না কেন ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। প্রসেসগুলো ঠিক রাখতে হবে। আর তাতেই যেন অনুপ্রাণিত হয়েছে ক্রিকেটাররা।
