লিটন-মাহমুদউল্লাহর প্রতিরোধে দিন শেষে স্বস্তিতে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ৮ জুলাই, ২০২১ at ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ

জিম্বাবুয়ের মাটি পেসারদের স্বর্গরাজ্য- সে তো জানা কথাই। কিন্তু তাদের অখ্যাত সব পেসাররা এতটা ভোগাবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সেটা বোধহয় অনুমান ছিল না কারোই। দিনের শুরু থেকেই জিম্বাবুয়ের পেসারদের সামনে খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবে অধিনায়ক মোমিনুল, মাহমুদউল্লাহ এবং লিটন দাশের তিনটি হাফ সেঞ্চুরির কল্যাণে শেষ পর্যন্ত স্বস্তিতে দিন পার করেছে বাংলাদেশ। সকালের চরম বিপর্যয় সত্ত্বেও ৮ উইকেটে ২৯৪ রানে দিন শেষ করে টাইগাররা। যেখানে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া উল্লেখ করার মত বলতে গেলে আর কিছুই নেই। দলের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে চরমভাবে। দুই ওপেনারের পর সাকিব, মুশফিকদের মত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরাও কিছু করতে পারেননি। তবে দিন শেষে সে ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে বাংলাদেশ।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। চোটের কারণে খেলতে পারেননি তামিম। ফলে দুই তরুণ সাইফ হাসান এবং সাদমান ইসলাম ইনিংস শুরু করেন বাংলাদেশের। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না সাইফ। রানের খাতা খোলার আগেই মুজারবানির শিকার হয়ে ফিরলেন তিনি। আরেক তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যর্থ হলেন। সেই মুজারবানির শিকার হয়ে ফিরলেন মাত্র ২ রানে। ৮ রানে দুই উইকেট নেই বাংলাদেশের। এরপর সাদমানকে নিয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক মোমিনুল। ৬০ রান যোগ করেন এ দুজন। রিচার্ড এনগারাভারের বলে উইকেটরক্ষক ব্র্যান্ডন টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ২৩ রান করা সাদমান। অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে তার তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ হয় ৬০ রান। তবে শেষ পর্যন্ত ইনিংস বড় করতে পারেননি এই বাঁহাতি। ৬৪ বলে ৪টি চারে ২৩ রান করে রিচার্ড এনগারাভার বলে উইকেটরক্ষক ব্র্যান্ডন টেইলরকে ক্যাচ দেন।
দলের দুই সেরা ব্যাটসম্যান মোমিনুল এবং মুশফিক যখন উইকেটে তখন আশা দেখছিল টাইগার শিবির। কিন্তু মুশফিক পারলেন না দলের বিপর্যয়ে দায়িত্ব নিতে। ফিরলেন ১১ রান করে। তবে বাংলাদেশ শিবির সবচাইতে বড় ধাক্কা খায় যখন রানের খাতা খোলার আগে ফিরেন সাকিব। ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেন না দলের সেরা ক্রিকেটার। ষষ্ট উইকেটে মোমিনুল এবং লিটন দাশ ভাল কিছু করার ইঙ্গিত দিরেও বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মোমিনুল। তবে ভিক্টর নিয়াচির বলে আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে ৯২ বলে ১৩টি চারের সাহায্যে ৭০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন টাইগার দলপতি। ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জিম্বাবুয়ে বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন লিটন এবং মাহমুদউল্লাহ। সপ্তম উইকেট জুটিতে রিয়াদের সঙ্গে ১৩৮ রানের মান বাঁচানো জুটি গড়েন লিটন। তবে দুর্ভাগ্য লিটনের। নিজের সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে ফিরেন লিটন। ১৪৭ বলে ১৩টি চারের সাহায্যে ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি থামে থিরিপানোর শিকার হয়ে। লিটন ফিরে আসার পরের বলেই ফিরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু একপ্রান্তে অবিচল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তাসকিন আহমেদকে নিয়ে দিনটা শেষ করে আসেন হঠাৎ করেই টেস্ট দলে ডাক পাওয়া মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ প্রথম দিনটা শেষ করে ৮ উইকেটে ২৯৪ রান করে। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত আছেন ৫৪ রানে। আর তার সাথে তাসকিন আছেন ১৫ বলে ১৩ রান করে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সফল বোলার ব্লেসিং মুজারাবানি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন থিরিপানো এবং ভিক্টর নিয়াচি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাইতির প্রেসিডেন্টকে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা
পরবর্তী নিবন্ধবিদায় ট্র্যাজেডি কিং