লিচুবাগান ফেরিঘাট পারাপারে দীর্ঘ অপেক্ষা

কাপ্তাই প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ

লিচুবাগানে কর্ণফুলী নদীর উপর সেতু না থাকায় মানুষকে চলাচলে চরম দুর্গতি পোহাতে হচ্ছে। লিচুবাগান ফেরিঘাটে কবে সেতু হবে তা কেউ জানেনা। পারাপারের জন্য মানুষকে বিরক্তিকরভাবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এর ফলে সর্বস্তরের জনগন বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।
জানা গেছে ১৯৮৫ সাল থেকে লিচুবাগানে কর্ণফুলী নদীর উপর ফেরি চলাচল করছে। তখন থেকে লিচুবাগান ফেরিঘাটের উপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য মানুষ দাবি জানিয়ে আসছেন। সর্বস্তরের জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালে তৎকালিন বিএনপি চারদলীয় জোট সরকার লিচুবাগান ফেরিঘাটে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তৎকালিন যোগাযোগ মন্ত্রী অলি আহমদ এখানে সেতু নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু এরপর আর লিচুবাগান ফেরিঘাটে সেতু নির্মিত হয় নাই। রাঙামাটি জেলার পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেন বলেন, কৃষি গবেষনা কেন্দ্রটি নদীর অপর পাড়ে রাইখালীতে অবস্থিত। প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ কৃষিবিদ এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রয়োজনে এখানে আসতে হয়। কিন্তু ফেরী পারাপারের যন্ত্রনায় এবং আসা যাওয়ার বিড়ম্বনায় এখানে সাধারণত কেউ আসতে চায়না। ফলে গবেষণা কাজেও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাস চালক মো. সোলায়মান জানান, তিনি বান্দরবান থেকে বাস নিয়ে প্রতিদিন রাঙামাটি যাতায়াত করেন। সারাপথ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারলেও লিচুবাগান ফেরিঘাটের সামনে এসে থমকে যেতে হয়। ভাগ্যভালো থাকলে মাঝে মধ্যে দ্রুত ফেরীতে উঠতে পারি। আর দুর্ভাগ্যক্রমে একবার ফেরী মিস করলে কমপক্ষে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে ঘাটে বসে এভাবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা কারো কাছেই ভালো লাগেনা। তিনি দ্রুত লিচুবাগান ফেরিঘাটের উপর একটি সেতু নির্মাণ করে মানুষের চলাচল সহজ করে দেবার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুক্তিযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধদক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ