লাশের পর লাশ, কাঁদার লোকও নেই অনেক পরিবারে

| মঙ্গলবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ

১৯৩৯ সালের পর তুরস্ক এমন ভয়াবহ ভূকম্পন দেখেনি। ভূমিকম্পের ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়া। উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক মৃতদেহ। কোনও কোনও পরিবারে সকল সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। শোকপালন করবেন বলেও আত্মীয়পরিজন নেই অনেকের। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়িঘর। এই ঘটনা তুরস্কবাসীদের ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পের স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে। সেই ভূকম্পের ফলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। গত ২৫ বছরে তুরস্কে মোট সাত বার ভূমিকম্প হয়েছে, রিখটার স্কেলে যার কম্পনের মাত্রা ৭ বা তার বেশি ছিল। কিন্তু গতকাল সোমবারের এই কম্পন স্থানীয়দের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। বিপর্যয়ের মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তীব্র কম্পনের ফলে বাড়িঘর ভেঙে পড়ছে। প্রাণ বাঁচানোর আশায় স্থানীয়দের ছোটাছুটি করতেও দেখা যাচ্ছে। দমকলকর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়িপ এর্ডোগান এই ঘটনায় টুইটারে শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ভূমিকম্পের ফলে আমাদের দেশের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি আমার দেশবাসীদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার কর্মীরা সকলে সতর্ক রয়েছেন। উদ্ধারকাজে কোনও ত্রুটি নেই। কারেন ম্যাগিনিস নামের এক আবহাওয়াবিদ ভূমিকম্পের এই ঘটনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তার মন্তব্য, যে এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে ধনী লোকজন বাস করলেও তার সংখ্যা সামান্য। বেশির ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে রয়েছেন। এই বিপর্যয়ের দিনে তাদের অবস্থা আরও সঙ্কটজনক। একেই ঠান্ডা আবহাওয়া। তার উপর মাঝেমধ্যে বৃষ্টি পড়ছে। চাষবাসের ক্ষয়ক্ষতি তো হচ্ছেই। এই পরিস্থিতিতে শহরের লোকেরা কীভাবে দিনযাপন করবেন, তা ভাবলেই চিন্তা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে কমিশনের সভা আজ
পরবর্তী নিবন্ধতুরস্ক ও সিরিয়া মৃত্যুপুরী