ব্রিটেনের সবচেয়ে যুগান্তকারী ও ঐতিহ্যবহনকারী স্থাপনা হচ্ছে লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ। বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৩৫ বছরের পুরোনো এ ব্রিজ সেজেছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রঙ লাল-সবুজে। টাওয়ার ব্রিজ থেমস নদীর উপর নির্মিত একটি ঝুলন্ত সেতু, যা ১৮৮৬ থেকে ১৮৯৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল।
সিটি অফ লন্ডন কর্পোরেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশকে অসাধারণভাবে তুলে ধরা হয় আলোকসজ্জার মাধ্যমে যা সারা পৃথিবীর বাংলাদেশীদের জন্য গৌরবের। আর এ উদ্যোগের অগ্রযাত্রায় ছিলেন সিটি অব লন্ডনের ব্রিটিশ বাংলাদেশি কাউন্সিলার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মনসুর আলী। তিনি বলেন, আমি ব্রিটেনে এসেছিলাম ২ বছর বয়সে, তখন থেকেই এই টাওয়ার ব্রিজ দেখে বড় হয়েছি। এখন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। বাংলাদেশ আমার জন্মস্থান, বাংলাদেশ যেমন আমার অস্তিত্ব তেমনি টাওয়ার ব্রিজের সাথে আমার আবেগ মিশে আছে। বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসে এই আইকোনিক ব্রিজ বাংলাদেশের পতাকার রঙ-এটা থেকে ভীন দেশী মানুষ জানবে ব্রিটেনে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের অবদান।
১৬ ডিসেম্বর (বৃহম্পতিবার) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় টাওয়ার ব্রিজে অপরূপ সাজে সজ্জিত করার সময় উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের সিটি অব কাউন্সিলের সাবেক লর্ড মেয়র স্যার ডেভিড ওটন, সিটি অব লণ্ডনের চীফ কমনার ব্রায়ান মুনি, ব্যরোনেস পলা উদ্দিন মঞ্জিলা ও টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলের স্পীকার আহবাব হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশী বংসদ্ভুত ব্রিটিশ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
ব্রিটেনের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী এ স্থাপনার দৈর্ঘ্য ২৪৪ মিটার ও উচ্চতা ৪২ মিটার। যা দেখার জন্য বছরে ৩০ লাখ পর্যটক ভিজিট করেন। প্রতিদিন টাওয়ার ব্রিজ ভ্রমণ ও ব্যবহার করে থাকেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ।
ঐতিহাসিক এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে লন্ডনের নানা প্রান্ত থেকে টাওয়ার ব্রিজের সামনে স্বপরিবারে জড়ো হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এ সময় ব্রিটিশ বাংলাদেশী শিল্পী রুবাইয়াৎ বাংলা গান গেয়ে সবাইকে উচ্ছল ও প্রাণবন্ত করে রাখেন।
উল্লেখ্য,পাওয়ার হান্ড্রেড নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ২৬ শে মার্চ ২০২১ লন্ডনের অন্যতম আরেক আইকোনিক স্থাপনা লন্ডন আইকেও আলোকিত করা হয়েছিল বাংলাদেশের পতাকার সাজে।