লাকসামে পূর্বাঞ্চলের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

মাইলেজ নিয়ে আন্দোলন

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের (লোকোমাস্টার, গার্ড এবং টিটিই) মাইলেজ জটিলতা নিয়ে অসন্তোষ বেড়েই চলেছে। মাইলেজ ভাতা আগের নিয়মে বহাল রাখার দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে আসছেন ট্রেনের রানিং স্টাফরা। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে মাইলেজ জটিলতার বিষয়টি নিসরন না হলে এবং এই সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা না হলে ৩১ জানুয়ারি থেকে (৩০ জানুয়ারি রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে) কোন ধরনের ট্রেন না চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন তারা। মাইলেজ নিয়ে সৃষ্ট অসন্তোষের সুরাহা না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার লাকসাম এলাকায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডিআরএমসহ ৩ শীর্ষ কর্মকর্তাকে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন লোকোমাস্টার, গার্ড এবং টিটিইরা।

এক লোকোমাস্টার জানান, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে চাঁদপুর যায় একটি ট্রায়াল ট্রেন। এতে দু’টি স্পেশাল বগি আর নতুন ইঞ্জিন (৩০২১) লাগানো হয়। এই ট্রেনে লোকোমাস্টার ছিলেন (এলএম) বেলাল উদ্দিন ও সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) জসিম উদ্দিন সিকদার এবং গার্ডের দায়িত্বে ছিলেন আক্তার উদ্দিন। ট্রেনটি বেলা ১২টার দিকে লাকসাম স্টেশন পৌঁছালে সেখান থেকে এলএম বেলাল উদ্দিন ও এএলএম জসিম উদ্দিনকে ট্রেন থেকে নামিয়ে ফেলেন রানিং স্টাফরা। সেখানে লোকোমাস্টার, গার্ড এবং টিটিইরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং এ সময় রেল কর্মকর্তারা প্রায় এক ঘণ্টার মতো অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ট্রেন চালক, গার্ড, টিটিই সবাই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। কর্মকর্তাদের বহনকারী ওই বিশেষ ট্রেনে ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) তারেক শামস তুষার, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের রেলওয়ে কর্মকর্তারা। শেষ পর্যন্ত রেল কর্মকর্তারা চালক, গার্ড এবং টিটিইদের বুঝিয়ে বলেন, আপনাদের দাবির প্রতি আমাদের পূর্ণ সর্মথন আছে। আপনাদের দাবির বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। তারপর চালক, গার্ড এবং টিটিই ট্রেনটি চাঁদপুর নিয়ে যান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে ট্রাকচাপায় নারীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধভূমধ্যসাগর পাড়ির পথে ঠান্ডায় জমে সাত বাংলাদেশির মৃত্যু