লকডাউন শিথিলের আগে খুলেছে কিছু মার্কেট

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৫ জুলাই, ২০২১ at ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধ গতকাল শেষ হয়েছে। তবে ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে আজ থেকে ৮ দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। গতকাল নগরীর টেরিবাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজার এবং তামাকুমণ্ডি লেইন ঘুরে দেখা গেছে, এসব মার্কেটের ৬০ শতাংশ দোকান খুলেছে ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতা সমাগম কম হওয়ায় অধিকাংশ ব্যবসায়ীকে খোশগল্প করেই সময় কাটাতে দেখা যায়। অন্যদিকে প্রায় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীদের মুখে ছিল না মাস্ক। যাদের মাস্ক ছিল তাদের অধিকাংশ এক পাশে ঝুলিয়ে কিংবা থুতনিতে রাখেন মাস্ক। আবার অনেকে মাস্ক পকেটে নিয়ে দিব্যি হেঁটে যান।
কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই দোকান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান দৈনিক আজাদীকে বলেন, আজ (গতকাল) মার্কেট খোলার জন্য আমাদের সমিতির সিদ্ধান্ত ছিল না। তবে কিছু কিছু ব্যবসায়ী পাইকারী পণ্য ডেলিভারি দেয়ার জন্য হয়তো দোকান খুলেছেন। দোকান খুললেও আসলে মার্কেটে ক্রেতা নেই। আমরা সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল (আজ) থেকে মার্কেট খুলবো।
জহুর হকার্স মার্কেটের অলিদ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, লকডাউনের কারণে আমরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। গত ঈদেও ব্যবসা করতে পারিনি। এই ৮ দিন বিধিনিষেধ শিথিল করলেও আমরা ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছি ৩ দিন। কারণ মাঝখানে শুক্রবার পড়েছে। তাই দোকান খুলেছি। চিন্তা করেছি যদি কিছু বেচাবিক্রি তবে অন্তত বিদ্যুৎ বিলের টাকাটা উঠবে। প্রতি মাসে মাসে বসে বসে দোকান ভাড়া দিতে হচ্ছে। কোরবানির পর পর অর্থাৎ ২৩ তারিখ থেকে আবার লকডাউন দিয়েছে সরকার। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেড়েছে কোরবানি পশুর সরবরাহ তাড়াহুড়া নেই ক্রেতাদের
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে হতদরিদ্ররা পাচ্ছে পৌনে ৩ হাজার মেট্রিক টন চাল