লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম। এর আগে গত ২৮ মার্চ থেকে ২৯৮ কন্টেনারে প্রায় ৬ হাজার টন নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস শুরু করে কাস্টমসের নিলাম শাখা। গত রোববার পর্যন্ত ২৯৮ কন্টেনারের মধ্যে ১২৬ কন্টেনার পণ্য ধ্বংস সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান নিলাম শাখার উপ-কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান। নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ বিরতির পর নগরীর উত্তর হালিশহরের বে টার্মিনাল সংলগ্ন বেড়িবাঁধ রোডের চৌধুরী পাড়ার একটি খোলা জায়গায় নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস শুরু হয়। ক্রেন এবং স্কেভেটরের মাধ্যমে কন্টেনার থেকে পচে যাওয়া পণ্য নামিয়ে বড় গর্ত করে মাটি চাপা দেওয়া হয়। তবে লকডাউনে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ধ্বংস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
নিলাম শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, চার মাস আগে পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়া হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ পচা পণ্য ধ্বংসের কাজ কাস্টমস একা করতে পারে না। নিয়ম অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি কর্পোরেশনকে সাথে নিয়ে কাজটি করতে হয়। প্রথম দিকে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্পেস ব্যবহারের প্রস্তাব আসলে যাচাই করে দেখা যায় এই পরিমাণ পণ্য ওই জায়গায় ধ্বংস করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কারণ এতো পরিমাণ কন্টেনার ভর্তি নিয়ে ওই জায়গায় মুভমেন্ট করা অসম্ভব। রাস্তার অবস্থাও ভাল না। পরবর্তীতে আমরা সিটি কর্পোরেশন ও প্রতিনিধিদের নিয়ে উত্তর হালিশহরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন একটি জায়গা নির্বাচন করি। সবার সহমতে ওই জায়গা পণ্য ধ্বংসের জন্য বাছাই করে কার্যক্রম শুরু করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে বিপজ্জনক ৫৯ টন পণ্য ধ্বংসের জন্য সিলেটের সুনামগঞ্জের ছাতকের একটি সিমেন্ট কারখানায় পাঠানো হয়। এর আগে গত ২০১৯ সালে ১৮ ডিসেম্বর ধ্বংস করা হয় ৪ হাজার ৮০৭ টন পণ্য।