লকডাউনে চামড়ার আড়ত ও ট্যানারি খোলা রাখার দাবি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২০ জুলাই, ২০২১ at ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ

কোরবানির কাঁচা চামড়া লবন দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করনের জন্য কঠোর লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫দিন ট্যানারি এবং কাঁচা চামড়া আড়ত গুলো খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঈদের একদিন পর ২৩ জুলাই থেকে সরকার করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে আবার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতারা জানান, ঈদের দিন বিকাল থেকে কাঁচা চামড়া আড়তে আসতে থাকে। গ্রামাঞ্চলের দূর-দূরান্ত থেকে সব চামড়া আড়তে আসতে বেশ কয়েকদিন লেগে যায়। লকডাউনের মধ্যে ট্যানারি এবং আড়ত বন্ধ থাকলে চামড়া পচে যেতে পারে এবং বিক্রি না হলে লোকসানে পড়ার আশংকার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। তারা গার্মেন্টেসের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউনের মধ্যেও ১৫/২০ দিন ট্যানারি এবং আড়ত খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোসলিম উদ্দিন আজাদীকে জানান, আমরা বেশি টেনশনে আছি লকডাউন নিয়ে। লকডাউনের মধ্যে যদি ট্যানারি এবং কাঁচা চামড়ার আড়তগুলো খোলা রাখা না হয় তাহলে আমরা কাঁচা-চামড়া প্রক্রিয়াজাত এবং বেচা-বিক্রি করতে পারবোনা। আমাদের লোকসানে পড়তে হবে। অনেক ক্ষেত্রে চামড়া পচেও যেতে পারে। তিনি মৌসুমী ব্যবসায়ীদের গরমের মওসুমে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা বিবেচনায় চামড়ার সঠিক মান ধরে রাখতে কোরবানির চার ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় লবণ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ট্যানারি ব্যবসায়ীদের এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়া কিনতে হবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। গত বছর এই দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য জেলায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়ার দাম হবে ৩৩ টাকা থেকে ৩৭ টাকা, গতবছর যা ২৮ থেকে ৩২ টাকা ছিল।
এছাড়া সারাদেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবছর খাসির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকায় বেঁধে দিয়েছিল সরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুঁইছড়ি বহদ্দার হাট বেইলি ব্রিজে গাড়ি আটকে ভোগান্তি
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় দুই অসহায় পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর