রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জেঁকে বসেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। ক্যাম্পে বিয়ের নামে অবস্থান করে এসব সন্ত্রাসী অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, খুন সহ নানান অপরাধ সংঘটিত করছে।
চলতি অক্টোবর নাসে শুধু টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পে দু’টি পৃথক ঘটনায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এ সময় একটি লম্বা বন্দুক ও একটি তাজা বুলেটও উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৬টার দিকে নয়াপাড়া রেজি. ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে লম্বা বন্দুকসহ ইসমাইল (২২) নামের স্থানীয় এক যুবককে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর একটি তাজা বুলেট উদ্ধার করা হলেও পালিয়ে যায় স্থানীয় যুবক মো. ইউনুস।
কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৬টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্স বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় সন্ত্রাসী মো. ইসমাইলকে একটি একনলা বন্দুকসহ গ্রেফতার করে। সে স্থানীয় মো. কাছিমের ছেলে।
টেকনাফ নয়াপাড়া রেজি. ক্যাম্পের ব্লক-বি, শেড-১০২০/০৬ এর তার শ্বশুর রোহিঙ্গা রহুম উল্লার ঘরে অবস্থান করে ক্যাম্প এলাকায় অপহরণ, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন ধরনের আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, “ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয়দের বিয়ের আইনগত বৈধতা নেই। এছাড়া বহিরাগত রোহিঙ্গা সহ যে কারো অবস্থান এখন কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।”
তিনি ক্যাম্প এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান।