কক্সবাজারে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা পাচার মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও প্রদান করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১৩ এর মো. বশির আহমদের ছেলে মো. আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউজ দক্ষিণ হাজীপাড়ার মকবুল আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ বিল্লাল (৩৭),
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি পঞ্চরাম পাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) এবং একই এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)।
রাষ্ট্রপক্ষের আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রায় ঘোষণাকালে আসামি আয়াজ ও বিল্লাল কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আর অপর দুইজন পলাতক। তিনি জানান, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে র্যাব-১৫ এর একটি দল কক্সবাজার শহরের মাঝিরঘাটস্থ খুরুস্কুল ব্রিজের উত্তর পার্শ্বে অভিযান চালিয়ে একটি ফিশিং বোট আটক করে। এসময় ফিশিং বোটে থাকা মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল র্যাব সদস্যদের হাতে আটক হলেও আরো ৪/৫ জন পালিয়ে যায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা ও ১০ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। মাদক পাচারের দায়ে ফিশিং বোটটিও জব্দ করা হয়।
পিপি ফরিদুল আলম আরও জানান, এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনুর রশীদ বাদী হয়ে উল্লেখিত ২ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামি আয়াজ ও বিল্লাল নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে। তারা জবানবন্দিতে পলাতক আসামি আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলাটির চার্জশিট প্রদান করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার। এরপর আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার কার্য চলার পর গতকাল বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার চার আসামি সকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দণ্ড দিয়েছেন।
