রেল লাইনে মৃত্যুদূত মোবাইল ফোন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ

| বুধবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:০১ পূর্বাহ্ণ

ইদানীং মোবাইল ফোনের কারণে ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষের লাশের সংখ্যা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সংবাদপত্রের পাতা খুললেই প্রতিদিন চোখে পড়ে মোবাইল ফোনের হেডফোন লাগানো অবস্থায় ট্রেনে কাটা পড়ে পথচারীর মর্মান্তিক মৃতুুর সংবাদ। ব্রিটিশ শাসকদের করা ১৮৬১ সালের রেল আইনের ১২ নং ধারা অনুযায়ী রেল পথের ২০ ফুটের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে এই আইন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের হিসেবে ২০১১ থেকে ২০২০ সাল অর্থাৎ মাত্র ১০ বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৯১৩৩ জন। এর মধ্যে অসাবধানতায় মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ। রেল পুলিশের ভাষ্যমতে মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই টিনএজ এবং তারা কানে মোবাইলের হেডফোন লাগানো অবস্থায় থাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুবরণ করে।

এমতাবস্থায়, আমাদের অভিভাবকদের নিজেদের টিনএজ ছেলেমেয়েদের চলন্ত ট্রেনের ছাদে সেলফি তোলা, রেললাইনে আড্ডা দেওয়া, কানে হেডফোন লাগিয়ে মিউজিক শোনা কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার সময় রেলপথ পরিহার করে সাবধানে চলাফেরা করার জন্য সতর্ক করতে হবে। তাছাড়া রেললাইনে মৃত্যুর দূত মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে, সামাজিক সংগঠন, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীসহ জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ভূমিকা পালন করতে হবে। তবেই রেললাইনে মর্মান্তিক মৃত্যুর লাশের বহর কমানো সম্ভব হবে।

আবদুর রহিম

কমার্স কলেজ রোড়, মতিয়ারপোল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনন্ত সিং : ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী সৈনিক
পরবর্তী নিবন্ধযাসনে ওদের কাছে