চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম এবং দেশের একমাত্র রেলওয়ে জাদুঘর। যে জাদুঘরের সাথে জড়িয়ে আছে শতবর্ষ পুরোনো বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসুঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। তবে অযত্নু অবহেলায় প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ পড়ে আছে জাদুঘরটি। দেশের নতুন প্রজন্মকে রেলওয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাতে ২০০৩ সালে স্থাপন করা হয় জাদুঘরটি। ১৫ নভেম্বর ২০০৩ সালে এটি জাদুঘরে পরিণত হবার পূর্ব পর্যন্ত রেলওয়ের বাংলো হিসেবে ব্যবহৃত হতো। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার অন্তর্গত আমবাগান এলাকায় প্রায় ১২ একর পাহাড়ী এলাকা জুড়ে দ্বিতল বিশিষ্ট এই বাংলোটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে জাদুঘরটি প্রায় ১ যুগ ধরে বন্ধ থাকার ফলে একদিকে যেমন ধ্বংস হতে চলেছে জাদুঘরটি অন্যদিকে রেলওয়ে ইতিহাস জানা ও দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে তালায় ধরেছে জং, জাদুঘরের পলেস্তারাও খসে পড়তে শুরু করেছে। সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে প্রাচীন রেলের স্মৃতিচিহ্ন ও মূল্যবান যন্ত্রপাতি। আগ্রহ নিয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদেরও হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে হলেও এই জাদুঘরটি খুলে দেওয়া উচিত। ঐতিহ্যেবাহী এই জাদুঘরটি সংস্কার ও উন্মুক্ত করলে একদিকে যেমন রেলওেয়ের ইতিহাস বেঁচে থাকবে অন্যদিকে এটি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
সাফিনাতুন জাহান সাবরিন
শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম।