রেমাল কীভাবে এলো

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৬ মে, ২০২৪ at ৭:২৭ পূর্বাহ্ণ

আরবি শব্দ ‘রেমাল’। এর অর্থ বালু। আজ রোববার আঘাত হানার সম্ভাবনায় থাকা বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামও ‘রেমাল’। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, রেমাল কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নাম হলো? এর উত্তর খোঁজার আগে পাঠকের সুবিধার্থে বলে রাখা, ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেমাল দিয়েছে ওমান।

২০০৪ সালের পূর্বে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো নামকরণ করা হতো না। ওই বছর আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) পাঁচটি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। আরএসএমসি তার সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নামের তালিকা চেয়ে থাকে। তালিকা পেলে দীর্ঘ সময় যাচাইবাছাই করে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমওর কাছে পাঠায়।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে আটটি দেশ আটটি করে নাম দেয়। সেখানে প্রথম নামটি ছিল বাংলাদেশের এবং এটি ছিল ‘অনিল’। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা অনুমোদন করে ডব্লিউএমও/এসকাপ প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস নামের আঞ্চলিক কমিটির একটি প্যানেল। এ প্যানেলের মধ্যে আছে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই ১৩টি দেশ ২০২০ সালে ১৩টি করে ১৬৯ নাম প্রস্তাব করে। প্রস্তাবিত নামগুলো থেকে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম। ওই হিসেবে ওমানের দেওয়া নাম ‘রেমাল’ আজ আঘাত হানতে পারে। একইভাবে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে পাকিস্তানের দেওয়া ‘আসনা’। এরপর হবে কাতারের দেওয়া নাম ‘ডানা’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচালের বস্তায় ধানের জাত ও দাম লেখার নির্দেশনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে প্রস্তুত ৬৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র