রূপালী ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনের সাজা

অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

ব্যাংক থেকে জমার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলনের দায়ে রুপালী ব্যাংক, খাতুনগঞ্জের আমির মার্কেট শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক একেএম লুৎফুল করিম, প্রাক্তন অফিসার (ক্যাশ) আবু কায়সার চৌধুরী ও টাকা উত্তোলনকারী মো. সিরাজ মিয়াকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিরা পলাতক থাকায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, একেএম লুৎফুল করিমকে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৩ কোটি টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫() ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আবু কায়সার চৌধুরীকে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২ কোটি টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ২ বছরের কারাদণ্ড এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ () ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া সিরাজ মিয়াকে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৩ কোটি টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ২ বছরের কারাদণ্ড এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ () ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুদক পিপি বলেন, চার্জশিটভুক্ত আসামি ৬ জন। এর মধ্যে তিনজন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, আসামি মো. সিরাজ মিয়া ১৯৯০ সালের ২ জানুয়ারি রুপালি ব্যাংক আমির মার্কেট শাখায় একটি চলতি হিসাব খোলেন। তাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দেন মেসার্স মো. সিরাজ মিয়া। একই বছরের ৯ জানুয়ারি থেকে পরের বছর ১৯৯২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ওই হিসাবে তিনি লেনদেন করেন। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উক্ত হিসাবে ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৮২০ টাকা জমা ছিল। কিন্তু তিনি উত্তোলন করেন ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯৯ টাকা। সিরাজ মিয়া চেকের মাধ্যমেই উক্ত টাকা উত্তোলন করেছিলেন।

অতিরিক্ত উত্তোলিত টাকার চেকগুলো পাস করেন উক্ত ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক একেএম লুৎপুল করিম। উক্ত টাকা সিরাজ মিয়াকে প্রদানে ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি। মেসার্স সিরাজ মিয়া নামের কোন প্রতিষ্ঠান খোঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ১৯৯৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো’র সহকারী পরিদর্শক মোল্লা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। তদন্ত শেষে তিনি ২০০০ সালের ৩১ মে ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগৃহবধূর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল
পরবর্তী নিবন্ধস্যান্ডরের ডায়ালাইসিস সেন্টারে প্রতিদিনই বিলম্বে সেবা