পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমারের করা মামলায় একদিনের রিমান্ড শেষে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ দিন ধানমন্ডি থানার ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম রিমান্ড শেষে বাবুল আক্তারকে আদালতে প্রেরণ করেন। পরে আবারও রিমান্ড না চাওয়ায় এবং নতুন মামলা না থাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইসিটি অ্যাক্ট ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমারের দায়ের করা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। পরে আদালতে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আর্জি জানানো হয়। একপর্যায়ে শুনানি শেষে আদালত বাবুল আক্তারের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশে তাকে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলা হয়।
প্রসঙ্গত, পিবিআই প্রধান বনজ কুমার ২৭ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ তার বাবা আব্দুল ওয়াদুদ, ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে মানহানি ও ভাবমূর্তি বিনষ্টসহ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেছেন। দায়ের করা ওই মামলায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আসামিদের পরস্পর যোগসাজশে মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বনজ কুমার উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম মেট্রো পিবিআই মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি হিসেবে বাবুল আক্তারের নাম বেরিয়ে এলে তাকে গ্রেপ্তার করে। জেলে থাকা বাবুল আক্তার মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে এবং বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অপর আসামিরা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আক্তার ও অন্যান্য আসামির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ৩ সেপ্টেম্বর বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় তার ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ও ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উল্লেখিত ভিডিও প্রচার করা হয়। আসামি ইলিয়াস ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং সামপ্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে উসকানি দিয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশ এবং পিবিআই ও বিশেষ করে বাদীর মানসম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন। শুধু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ২ নম্বর আসামি হাবিবুর, ৩ নম্বর আসামি ওয়াদুদ এবং ৪ নম্বর আসামি বাবুল আক্তারের সার্বিক সহযোগিতায় ১ নম্বর আসামি ইলিয়াস হোসাইন ভিত্তিহীন বক্তব্যসহ ভিডিও ক্লিপ ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করেছেন।