নগরীর ডবলমুরিংয়ে গত ৫ আগস্ট মো. আলম নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহতের মামলায় রিমান্ড শেষে বন্দর–পতেঙ্গা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এর আগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে ডবলমুরিং থানা পুলিশ এম এ লতিফকে আদালতে হাজির করেন। তারও আগে গত ৩০ অক্টোবর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়া তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নগর পুলিশের উপ–কশিনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবির আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজকে (গতকাল) ডবলমুরিং থানার উক্ত মামলায় এম এ লতিফের জামিন চেয়েও আবেদন করা হয়। বিচারক তা নাকচ করে দিয়েছেন। আদালত সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের সামনে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। বিপরীতে কিছু লোক অস্ত্র নিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন মো. আলম। এতে মো. আলমের মাথায় গুলি লাগে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত ২২ সেপ্টেম্বর ডবলমুরিং থানায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফসহ ২২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন নিহত ব্যক্তির ভাই জামাল উদ্দিন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়ের ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।