রাষ্ট্রীয় সম্মননা একুশে পদকপ্রাপ্ত আধুনিক ছড়াশিল্পী লুৎফর রহমান রিটনকে নিয়ে বোধনের আন্তরিক আয়োজন রিটন সন্ধ্যা ২৪ ফেব্রুয়ারি থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম–এ অনুষ্ঠিত হয়। শিশুসাহিত্যিক সাংবাদিক রাশেদ রউফ এর অনবদ্য উপস্থাপনে অতিথি আলোচক ছিলেন খ্যাতিমান ছড়াসাহিত্যিক রোমেন রায়হান। বোধনের পক্ষে ছড়াশিল্পী লুৎফর রহমান রিটনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন বাচিক শিল্পী সুবর্ণা চৌধুরী। স্মারক সম্মননা তুলে দেন বোধনের সভাপতি সোহেল আনোয়ার। শ্রদ্ধা, মুগ্ধতা, ভালোবাসা সব মিলেমিশে একাকার। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে এক আনন্দের বন্যা ছড়িয়ে পড়ে। মিলনায়তন কানায় কানায় পূর্ণ। বসার সিট নেই, অনেককে দেখা গেছে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে। ছড়াশিল্পী লুৎফর রহমান রিটন ক্ষুদে শিশুদের অজস্র ভালোবাসায় সিক্ত হলেন, চট্টগ্রাম জয় করলেন আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা দিয়ে।দেশবরেণ্য ছড়াশিল্পী লুৎফর রহমান রিটন তাঁর অনন্য কথামালায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর অবিচল শ্রদ্ধার কথা বিনয়ের সঙ্গে জানালেন : ‘আমার মতো আর কেউ তো নেই যাঁর জীবনে বা স্মৃতিতে একই সঙ্গে জাতির পিতা এবং জাতির পিতার কন্যার মমতার স্পর্শ লেগে আছে! আমার জীবনের সবচাইতে বর্ণাঢ্য উজ্জ্বল আর গৌরবময় অধ্যায়টি রচিত হয়েছিলো ছেলেবেলায়। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহ সান্নিধ্য ও স্পর্শ লাভের বিস্ময়কর মুহূর্তগুলোর সমন্বয়েই রচিত হয়েছিলো সেই অধ্যায়টি, ১৯৭৪ সালের এক প্রসন্ন বিকেলে। রৌদ্রকরোজ্জ্বল অবিস্মরণীয় সেই বিকেলের গল্পটির ধারাবাহিক প্রেক্ষাপট নির্মিত হয়েছিলো ইতিহাসের অলৌকিক প্রণোদনায়। টেলিভিশনে সরাসরি সমপ্রচারিত এই অপরূপ দৃশ্যটি মুহূর্তেই সারা দেশ তো বটেই পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গেলো। একুশে পদকের মতো রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানের পদকের সঙ্গে আমি পেয়ে গেলাম আমার জীবনের সেরা গৌরবের আরেকটি অনুষঙ্গ। প্রথমটি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া দ্বিতীয়টি তাঁর সুযোগ্য কন্যার কাছ থেকে।’
আহা! দেশের একজন ছড়াকারের কী সৌভাগ্য! প্রাপ্তি অবশ্যই আনন্দের। তবে সে অর্জনে যখন থাকে কোনো প্রিয় মুখের নাম, তখন অনুভবে যোগ হয় এক অনন্য মাত্রা। অভিনন্দন প্রিয় ছড়াশিল্পী লুৎফর রহমান রিটন ভাই, একুশে পদক ২০২৪ প্রাপ্তিতে আপনাকে অভিনন্দন।