আসরের অন্যতম দুই ফেভারিট আর্জেন্টিনা ও জার্মানির হারের পর, ব্রাজিলের বেলায় কী ঘটে তা নিয়ে আগ্রহ-উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু সেসবের ধারেকাছেও যায়নি ব্রাজিল। ২-০ গোলে সার্বিয়াকে হারিয়েছে তারা।
ব্রাজিল দলের ৯ নাম্বার নাইন রিচার্লিসন, খেলার প্রথমার্ধে খুব সক্রিয় ছিলেন না। স্বরূপে ধরা দেন খেলার দ্বিতীয়ার্ধে। তার চোখধাঁধানো দুটি গোলে হেক্সা জয়ের মিশনটা দারুণ শুরু করেছে ব্রাজিল।
রেফারির বাঁশি বাজার পর থেকে মাঠে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে তিতের দল। যদিও প্রথমার্ধে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি খুব একটা। এদিন নেইমার ও লুকাস পাকেতাকে মিডফিল্ডে এনে ফরমেশন সাজান কোচ তিতে। আক্রমণভাগে রাখেন রিচার্লিসন, ভিনিসিয়ুস ও রাফিনিয়াকে। বরাবরের মতো এবারও ফাউলের বড় শিকার নেইমার। হাফ টাইম না পেরোতেই পাঁচবার আক্রমণ করা হয় তাকে, যা এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ৫১ মিনিটে প্রথমবার ডি বক্সে ঢোকার চেষ্টা করেন নেইমার। ৬০ মিনিটে লেফট ব্যাক অ্যালেক্স সান্দ্রোর জোরালো গতির শট পোস্টের বাধা এড়াতে পারেনি। ছন্দে থাকা ব্রাজিল গোলের ডেডলক ভাঙে ৬২ মিনিটে। সার্বিয়ার বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে ভিনিসিয়ুসের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান নেইমার। বাঁ প্রান্ত থেকে ভিনিসিয়ুসের শট অবশ্য ঠেকিয়ে দেন মিলিঙ্কোভিচ-সাভিচ। কিন্তু ফিরতি শটে ব্রাজিলকে ঠিকই গোল এনে দেন রিচার্লিসন। ব্রাজিলের জার্সিতে এটি তার ১৮ নম্বর গোল। এরপর সার্বিয়াকে বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরে সেলেসাওরা। একের পর এক আক্রমণে নাকানি-চুবানি খাওয়াতে থাকে সার্বিয়ান ডিফেন্ডারদের। কিন্তু সেই দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের অভাব ধরা দেয় আবারও।
যে কারণে দারুণ কিছু সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ভিনিসিয়ুস। ৭৩ মিনিটে আবারও রিচার্লিসন ঝলক। এই গোলের মোহ ব্রাজিল ভক্তরা সহজে কাটাতে পারবেন বলে মনে হয় না।
ভিনিসিয়ুসের ভাসানো বলটিকে দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিকে জালে পাঠান এই স্ট্রাইকার, ঠিক যেন এক শিল্প। নেইমারের (২০১৪) পর ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ অভিষেকেই জোড়া গোল করা প্রথম ফুটবলার তিনি। ৮০ মিনিটে নেইমারকে তুলে নেন কোচ তিতে। এর পরের মিনিটে আবারো গোলের কাছাকাছি গিয়েছিলেন কাসেমিরো। কিন্তু তার বাঁকানো শটটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে। বাকিটা সময় নিজেদের দুর্গ সামলাতেই ব্যস্ত থাকে সার্বিয়া।