থার্টি ফার্স্ট নাইটে সিএমপির নির্দেশনা অমান্য করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পটকাবাজি করে কিছু উচ্ছৃংখল যুবক। রাত ১২টা বাজার আগে কয়েকটি বাজি ফোটানো হলেও ঘড়ির কাটা ১২টা ছোঁয়ার সাথে সাথে তার মাত্রা বাড়ে। বিশেষ করে নগরীর জামালখান, আসকারদীঘির পাড়, এনায়েত বাজার, সিরাজদৌলা রোডসহ আশপাশের এলাকায় পটকার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। নগরীর অন্যান্য এলাকাতেও এ ধরণের পটকাবাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। থার্টি ফার্স্ট নাইটে যে কোনো ধরণের উচ্ছৃংখল আচরণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা থাকার পরেও নগরীর রাস্তায় নামে কিছু উচ্ছৃংখল যুবক। তারা হরণ বাজিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করলে মোড়ে মোড়ে বাধ সাধে পুলিশ। নগরীর বিভিন্ন স্পটে পুলিশী অ্যাকশন প্রত্যক্ষ করতে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর নিজেই রাত ১২টায় নেমে পড়েন রাস্তায়। কোন কোন স্পটে তিনি নিজেই উচ্ছৃংখল যুবকদের আটকের নির্দেশ দেন। আবার যেসব ভবন থেকে পটকাবাজী হয়েছে সেখানে অভিযান চালানোর নির্দেশনাও দেন তিনি। রাত সোয়া ১২টার দিকে সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে জামাল খান মোড়ে দুই বাইকারকে আটক করা হয়। তাদের মোটরবাইকগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সিএমপি কমিশনারের সরেজমিনের পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির মিডিয়া উইং ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মো. আবদুর রউফ। তিনি বলেন, ‘নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশী চেকপোস্ট পরিদর্শন করতে কমিশনার মহোদয় রাতে বের হয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি স্পট পরিদর্শন করেন তিনি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে নগরের কাজীর দেউড়ি, নিউ মার্কেট, পতেঙ্গা বীচ, নেভাল-২, দুই নম্বর গেট, সিটি গেইট, ওয়াসা মোড় ও ইস্পাহানি মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে পুলিশের তল্লাশী কার্যক্রম দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ মোটরসাইকেল, কারসহ বিভিন্ন গণপরিবহন দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করছেন। এছাড়া সন্দেহজনক পথচারীদেরও দাঁড় করিয়ে তল্লাশী চালাতে দেখা গেছে কাজীর দেউড়ি, জামালখান ও সিআরবি এলাকায়।











