চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর ২-৩টি কাজ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। নগরীর পোর্ট কানেকটিং রোডের কাজে গতি আনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। প্রায় পৌনে ছয় কিলোমিটার সড়ক, বন্দরের কারণে এটাকে লাইফলাইন বলা যায়। এখানে অর্থের অভাব ছিল না। এর জন্য অর্থ দিচ্ছে জাইকা। তারা টাকা নিয়ে বসে আছে কিন্তু ঠিকাদার কাজ করছে না। ঠিকাদারের সদস্যার কারণে কাজ আটকে ছিল এতদিন। ২ জন ঠিকাদার অযোগ্য ছিল। কিন্তু নানা কারণে কাজটা থেমে ছিল। আমি ৬ তারিখ দায়িত্ব নিলাম। ওইদিনই
ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ঠিকাদারদের সাথে বসলাম। এখানে একটা অংশে কাজ করছে রানা বিল্ডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান- যেটা জি কে শামীমের পার্টনার। তার বাড়ি কুমিল্লা। কাজ না করে কুমিল্লা গিয়ে বসে আছেন। আমি তাকে ধরে আনলাম। বললাম- কাজ না করলে চট্টগ্রাম থেকে যেতে দেব না।
আরেক প্রতিষ্ঠান ইয়াকুব ব্রাদার্স। তারাও কাজ না করে বসেছিল। ঠিকাদারকে বললাম, আপনার বাড়ি তো চট্টগ্রামে, আপনি কেন কাজ করছেন না। তিনি বললেন টাকা নেই। উনাকে সিটি কর্পোরেশন থেকে অগ্রিম কিছু টাকা দিলাম। একটা ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা লোন নিয়ে দিলাম। ‘রাস্তার কাজ তো আর পরোটা নয় যে, ধুম করে বানিয়ে খেয়ে ফেলা যাবে’। স্ট্যান্ড রোডের কাজ ৪০ ভাগ শেষ হয়েছে। করোনায় ঠিকাদার মারা যাওয়ায় কাজে ধীরগতি হয়ে পড়েছিল। চসিক তদারকি করলে মার্চের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী হবে আশা করি।
পোর্ট কানেকটিং রোডের কাজ আমি পুরোপুরি শেষ করতে পারিনি। মোটামুটি গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। অদক্ষ ঠিকাদারের কারণে পারিনি। এরপরও যতটুকু করেছি, মানুষ ১২ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অলঙ্কার মোড় থেকে নিমতলা পর্যন্ত যেতে পারছে। তবে বর্ষার আগে যদি এই রাস্তার কাজ শেষ না হয় মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। আমি আসার সময় ২টা ঠিকাদারকে বাদ দিয়ে এসেছি।
খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৬ মাস প্রশাসকের দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় নেয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চিটাগাং সিনিয়রস্ ক্লাবের অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথাগুলো বলেন।
এসময় বিদায়ী প্রশাসক বলেন, আমি আজকে এই সভা ডেকেছি শুধু কৃতজ্ঞতা জানাতে। মিডিয়ার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। আমাকে যেভাবে সহযোগিতা করেছে তার জন্য।