টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খুব একটা ভাল খেলতে পারেনা বাংলাদেশ দল। এক ম্যাচ ভালো খেলেতো তিন ম্যাচে খারাপ। তাইতো আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নয় নম্বরে। সমপ্রতি টি-টোয়েন্টি দলকে ঢেলে সাজানোর বার্তা দিয়েছে বোর্ড। তাই হয়তো অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে। অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে তরুনদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে দলে। তবে নানা পরিকল্পনা করলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচাইতে বড় যে অস্ত্র সেই পাওয়ার হিটিং রপ্ত করতে পারেনি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অন্যরা যে বলকে ছক্কা মেরে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেয় সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা চেষ্টা করে চার মারার। আর এই পাওয়ার হিটিং এর সমাধান খুব সহসা হবে তেমন কিছু দেখেননা বাংলাদেশ দলের তরুন অল রাউন্ডার শেখ মাহেদি হাসান ।
পাওয়ার হিটিং দুর্বলতার প্রসঙ্গ উঠলেই টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল কিংবা কাইরন পোলার্ডের মতো মাসলম্যান নেই বাংলাদেশ দলে। পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য মাসল ওয়ালা শরীর যে শর্ত শেখ মাহেদী হাসানও বললেন একই কথা। গতরাতে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের মতো করে অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটাররা। আর এ সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় তরুণ অলরাউন্ডার মাহেদি হাসান। তিনি বলেন আমরা বাংলাদেশিরা কেউই পাওয়ার হিটার না। আমরা চাইলে আন্দ্রে রাসেল বা পোলার্ড হতে পারব না। আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে যেটুকু আছে তা দিয়ে যতটা উন্নতি করা যায়। তিনি বলেন এটা ঠিক যে পাওয়ার হিটিং কোচের দরকার। তবে আপনার যে স্কিল আছে, একে কোচ হয়তো ১০ শতাংশ এগিয়ে দেবে। কিন্তু ৩০ শতাংশকে ১০০ শতাংশকে পৌঁছে দিতে পারবে না। আমরা জন্মগতভাবেই এরকম। রাতারাতি পরিবর্তন করা মনে হয় না সম্ভব। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট চালু হওয়ার পর থেকেই দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে ভুগছে বাংলাদেশ। মাসলম্যান ছাড়া পাওয়ার হিটিং যে সম্ভব না বিষয়টা কিন্তু একেবারেই তেমনও না। ভারত, পাকিস্তানের মতো দলগুলোতে বলার মতো মাসলম্যান নেই বললেই চলে। কিন্তু ভারত টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে ১ নম্বরে। পাকিস্তান তিন নম্বরে। অপর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ র্যাংকিংয়ের সাত নম্বরে। বিশাল শরীর না হলেও নিয়মিত দ্রুত গতিতে রান তুলতে দেখা যায় হার্দিক পান্ডিয়া, পৃথ্বী শ, আসিফ আলির মতো ক্রিকেটারদের। শুধু পাওয়ার হিটিং নয় ভারত-পাকিস্তানের মতো দলগুলোর একাদশের অন্য ক্রিকেটাররাও ভালো স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেন। অথচ বাংলাদেশ সেখানেও বেশ পিছিয়ে। মাহেদি বলেন আরও সময় দিতে হবে। কাজ করতে হবে আরও। আমরা প্রায় ১৫ বছরের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছি। কিন্তু এই লম্বা সময়েও আমরা পাওয়ার হিটিং রপ্ত করতে পারিনি। যেহেতু হচ্ছে না তাই আমাদের এটা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। পাওয়ার হিটিংয়ের কথা সবসময়ই আসে। কিন্তু এটা ঠিক না। আমাদের সামর্থ্যের বাইরে চাইলেও করতে পারবে না। এটা আপনাদের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে।