প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংসদের বাইরে সবচেয়ে বড় দল বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে দলীয় সূত্রে জানা যায়, ইসি গঠন নিয়ে বিএনপির তেমন আগ্রহ নেই। তারা আগে চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পরে ইসি গঠন প্রক্রিয়া। খবর বাংলানিউজের।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সোমবার পর্যন্ত সংলাপের কোনো আমন্ত্রণ তারা পাননি। আর আমন্ত্রণপত্র পেলেও সেখানে যাবেন কিনা সেটা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিদ্ধান্ত নেবে।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের উদ্যোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকরা অতীতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এই সংলাপ ‘আইওয়াশ’ ও ‘স্পষ্ট প্রতারণা’ ছাড়া কিছুই নয়। দলীয় সরকারের প্রভাব বলয়ের বাইরে গিয়ে ওই কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। এ কারণে বিএনপি গতকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রপতির সংলাপের চেয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতেই অনড় থাকতে চায়।
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে দলটি। এই দাবি আদায়ে রাজপথের আন্দোলন জোরদার করতে চায় তারা। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত বিভিন্ন সভা সমাবেশে একই বক্তব্য দিচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে বিএনপি যাবে না। আমি মনে করি দলেরও এই সিদ্ধান্ত।
সমপ্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ছিল, আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট, এই সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা যাব না। নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনো সংলাপে বিএনপি যাবে না।