কক্সবাজারের রামু উপজেলায় মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা গরুর চালান নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের গুলিতে পিতা–পুত্র নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন উপজেলা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম এবং তার ছেলে মো. সেলিম। গত রোববার দিবাগত রাত ১ টার দিকে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের উত্তর থোয়াইংগাকাটা মৌলভীরঘোনা এলাকার নজরুল ইসলামের চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে ওই এলাকায় আবছার এবং শাহীন নামের দুজনের দুটি গ্রুপ আছে। আধিপত্য বিস্তার এবং বার্মিজ গরু চোরাচালানকে কেন্দ্র করে গ্রুপ দুটির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। রোববার দিবাগত রাতে শাহীন গ্রুপের ১৪ থেকে ১৫ জন চোরাচালানের গরু পার করার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওখানে আবছার গ্রুপের ২০ থেকে ২২ জন দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুক গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে শাহীন গ্রুপের মো. সেলিম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। সেলিমের পিতা জাফর আলম ছেলেকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর এবং গুলি করা হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আবু তাহের দেওয়ান আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।