কাতার বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো হলো না গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার। গতকাল দোহার আল বাইত স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়াক গোলশূন্য রুখে দিয়েছে আফ্রিকার দেশ মরক্কো। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়া সেবার শুরু করেছিল আরেক আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে সেই ক্রোয়েশিয়া উঠেছিল ফাইনালমঞ্চে। এবার তাদের শুরুটা হলো পয়েন্ট হারিয়ে। বল দখলের লড়াইয়ে মরক্কোর চেয়ে ঢের এগিয়ে ছিলো ক্রোয়েশিয়া। আক্রমণেও ছিল এগিয়ে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগও তৈরি করেছিল তারা।
লুকা মদরিচের বাড়ানো বলে ছোট বক্স থেক শট নিয়েছিলেন নিকোলা ভ্লাসিচ। কিন্তু মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনু সেই বল ঠেকিয়ে দেন দুর্দান্তভাবে। প্রথমার্ধে মাঝ মাঠকে প্রাধান্য দিয়ে খেলেছে দুই দল। নিজেদের রক্ষণ দুর্গ ঠিক রেখে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা ছিল। মরক্কোর কৌশল ছিল প্রতি আক্রমণে। সেই কৌশলে বেশ কয়েকবার তার হানা দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণে। গোল হওয়ার মতো সুযোগও তৈরি হয়েছিল। ৫১ ও ৫২ মিনিটে পরপর দুইবার ক্রোয়েশিয়ার পোস্টে শট নিয়ছিল মরক্কো। সোফিয়ান ও নুসাইয়ের শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।
অবশ্য বিরতির পরও ম্যাচের চেহারা ছিল একই রকম। তবে বল দখলের দিক থেকে বর্তমান রানারআপদের চেয়ে এগিয়ে ছিল মরক্কানরা। যদিও প্রথমার্ধের মতো মধ্যমাঠের মধ্যেই সিমাবদ্ধ ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীতা। ৬৩ মিনিটে মরক্কোর সেলিম আমাল্লাহকে ফাউল করেন লুকা মদ্রিচ। ফলে ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক থেকে জোড়ালো শট নেন হাকিমি। তার অসাধারণ শটের বল পোস্টে প্রবেশের সময় ফিস্ট করেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ডোমিনিক লিভাকোভিচ। ৭০ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করে মরক্কোর রক্ষণ। ৭৯ মিনিটে ক্রোয়েশিয়া পেয়েছিল পাল্টা ফ্রি কিক। ফ্রি কিকের ক্রসে মরক্কান গোল পোস্টেও সামনেই হেড করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডার জোসকো গাভারডিওল।
তবে সেটি অল্পের জন্য সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ছয় মিনিটের ইনজুরি টাইমেও কোন পক্ষ উল্লেখ করার মতো সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুস্ট থাকতে হয় দুই দলকে। ২০০০ সালের পর এর আগে পাঁচবারের প্রচেষ্টায় চার বারই বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে ব্যর্থ হয়েছে মরক্কো । চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে একমাত্র মূল পর্বে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল দলটির। ঐ আসরে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল দলটি । সেবার স্পেনের সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছিল মরক্কো।