আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতিতে যেসব দলের কোনো খবর নেই, নাম নেই, ঠিকানা নেই, সভাপতি আছে সম্পাদক নেই বা সম্পাদক আছে সভাপতি নেই, সেসব রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান–বাম অতিডান–অতিবাম–তালেবান সবাইকে নিয়ে জোট করে মাত্র ছয়টি আসন পাওয়া বিএনপি এবার তাদের সেই ২২ দলীয় জোট ভেঙে দিয়ে করলো ১২ দলীয় জোট। তারপর নামসর্বস্ব রাজনীতির ‘টোকাই’দের নিয়ে করেছে ৩৪ দলীয় জোট। আর ঢাকায় সামনে ৩৪
দলীয় জোটের ২৪ জন, মঞ্চে ১৬ জন নেতা আর ১০০ জন সাংবাদিক– এ হচ্ছে তাদের সভা–সমাবেশ। তাদের যে নির্বাচনে কোনো সম্ভাবনা নেই, সেটা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়া লাগে না। খবর বাংলানিউজের।
গতকাল শনিবার বিকেলে রংপুর শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চত্বরে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গত ডিসেম্বরে বিএনপির ৬ সংসদ সদস্যের পদত্যাগের পর বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে ১ ফেব্রুয়ারির উপ–নির্বাচনে স্বতন্ত্র অংশ
নিয়ে পুনরায় এমপি নির্বাচিত হওয়া উকিল আব্দুস সাত্তারের উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, শতশত উকিল আব্দুস সাত্তার তৈরি হয়ে আছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। তখন আর কম্বলের মধ্যে লোম খুঁজলে পাবেন না।
ড. হাছান বলেন, সমগ্র দেশে বিএনপি আবার আগুন সন্ত্রাসী–সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়েছে। ২০১৩–১৪–১৫ সালে যারা বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে, ট্রাকে আগুন দিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তারা আবার মাঠে নেমেছে।
২০১৪ সালে তারা শতশত নির্বাচনী কেন্দ্র স্কুলঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, সেখানে পুড়ে ছারখার হয়ে যাওয়া বইয়ের পোড়া টুকরো বুকে চেপে শিশুরা বিলাপ করেছে, সেই তারা আবার মাঠে নেমেছে, সে কারণেই আমরা শান্তি সমাবেশ দিয়েছি বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি বিষধর সাপ, তারা এখন
পদযাত্রার নামে দম নিচ্ছে, সুযোগ পেলেই ছোবল দেবে। এর নমুনাও পেয়েছি। সিরাজগঞ্জ ও অন্যান্য জেলায় তাদের পদযাত্রা থেকে আমাদের সমাবেশের ওপর হামলা, পিস্তল উচিয়ে সন্ত্রাসী তাণ্ডব আমরা দেখেছি। তারা আমাদের শান্তি সমাবেশের কারণ জিজ্ঞেস করে। অথচ তারা অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করে বলেই আমাদের শান্তি সমাবেশ।