পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্মিত হচ্ছে ৩১৭ কিমি সীমান্ত সড়ক

আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি জোরদার হচ্ছে নিরাপত্তা ৯৫ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন

রাঙামাটি প্রতিনিধি | রবিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রামে এগিয়ে চলছে ৩১৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ। এটি নির্মাণের ফলে পার্বত্য জেলায় সড়ক যোগাযোগে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটবে। খুলে যাবে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার। ২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হবে প্রকল্পের ১ম ধাপের কাজ। সীমান্ত সড়ক নির্মাণের ফলে আর্থসামাজিক

 

উন্নয়নের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনস্থ ১৬, ২০ এবং এডহক ২৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন সড়ক নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছে। সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১০৩৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে একনেকে ৩১৭

কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রথম পর্যায়ের কাজের মধ্যে ৯৫ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটির আরও ১৩২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শেষ হবে। অবশিষ্ট ৯০ কিলোমিটার কাজ ২০২৪ সালের জুন মাসে সম্পন্ন করা হবে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।

দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণের ফলে বদলে গেছে ওই এলাকার চিত্র। কৃষি, পর্যটন শিল্পের বিকাশসহ আর্থ সামাজিক খাতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। সড়ক ঘিরে দুর্গম জনপদের মানুষ দেখছে নতুন দিনের স্বপ্ন। সম্প্রতি রাঙামাটির জুরাছড়ির উপজেলার দুমদুমিয়া পয়েন্টে সড়কের উন্নয়ন কাজ

পরিদর্শন করেন সেনা প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতার পরও নির্ধারিত সময়ে সীমান্ত সড়কের কাজ শেষ করা হবে। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণের ফলে পাহাড়ি জনপদগুলোতে লেগেছে আধুনিকতার

ছোঁয়া। সংশ্লিষ্টদের অভিমত, এ সড়ক নির্মাণের ফলে ভারতবাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় ব্যবসাবাণিজ্যে যেমন প্রসার ঘটবে তেমনি উন্নয়ন ঘটবে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পর্যটন শিল্পে। রাজস্থলী মিতিঙ্গাছড়ি এলাকার বাসিন্দা সুমন চাকমা বলেন, সীমান্ত সড়ক হওয়ার

পূর্বে কেউ অসুস্থ হলে রোগীকে হাসপাতালে নিতে খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। বর্তমানে আমরা দুই ঘণ্টার মধ্যে রাজস্থলী সদর হাসপাতারে নিয়ে যেতে পারি। ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার অজয় ত্রিপুরা বলেন, মিতিঙ্গাছড়ি থেকে রাজস্থলী সদরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিমি। সীমান্ত সড়ক হওয়ার ফলে আমাদের সেই দূরত্ব অনেকাংশে কমে গেছে।

এ প্রসঙ্গে ২৬ ইঞ্জিনিয়ার্স কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম মুহায়মিন বিল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রদান করেন। সেনাবাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি সঠিক সময়ে গুণগত মান নিশ্চিত করে সম্পন্ন করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা