রাঙ্গুনিয়ায় প্রথম গম চাষ

ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২১ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়ায় গম চাষে ভাল ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে সাধারণ কৃষকের মাঝে। হেক্টর প্রতি ৩২ হাজার টাকা খরচে বিক্রি হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। এতে হেক্টর প্রতি তাদের ৪৩ হাজার টাকা নিট লাভ হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ায় প্রথমবারে গম চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করে খরচের দ্বিগুণ লাভ উঠে এসেছে। এতে গম চাষের প্রতি কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক আকারে বাণিজ্যিকভাবে গম চাষের কথা ভাবছেন সাধারণ কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, প্রথমবারের মতো ৬০ জন কৃষককে প্রণোদনার মাধ্যমে গম আবাদ করানো হয়। উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিতে গম আবাদ হয়।
প্রতিজন কৃষককে ২০ কেজি হারে গম বীজ ও ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়। নভেম্বর মাসের দিকে বপন করা গম ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ফলন এসেছে। এতে হেক্টর প্রতি ২.১০ মেট্রিক টন হারে গড় ফলন। উপজেলায় এবার ১৬.৮ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হয়েছে বলে জানা যায়। সরেজমিনে গেলে কথা হয়, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কৃষক হাজী আব্দুস ছত্তার, পদুয়ার কৃষক আবদুর রহিম, দক্ষিণ রাজানগরের মো. জসিম, পারুয়ার জালাল আহমদ, অনাথ দাশ, হোছনাবাদের কৃষক মাহাবুব আলম, নিতাই পদ শীলসহ বেশকিছু কৃষকের সাথে।
তারা জানায়, গত আমনে পাঁচ হেক্টর জমির ধান বিক্রি করে যে দাম পেয়েছিলেন, এবার দুই হেক্টর জমিতে গম আবাদ করে তার চেয়ে বেশি টাকা পেয়েছেন। ধানের দামের চেয়ে গমের দাম ও চাহিদা বেশি। তাই ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে গম আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার জানান, ধানের তুলনায় গমে সময় কম লাগে এবং লাভ বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত শীতকালে রবি মৌসুমে গম চাষাবাদ করা হয়। গম চাষে সময়মত ২টা সেচ দিতে পারলে উৎপাদন আরও বাড়বে। লাভও বেশি হবে। প্রথমবারেই কম সময়ে এবং অল্প পরিশ্রম গমের বাম্পার ফলনে অধিক লাভবান হওয়ায় পরের মৌসুমে আরও ব্যাপক আকারে গম চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কৃষকদের। গম চাষে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বরাবরের মতো সবধরণের সহায়তা করা হবে বলে তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালিশহরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মাস্ক বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রয়াত স্কুল শিক্ষকের পরিবারকে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের অনুদান