রাঙ্গুনিয়ায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম আরিফা মনি প্রকাশ রিয়া (১৯)। সে ওই এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ফার্নিসার মিস্ত্রি মো. নাছির উদ্দিনের স্ত্রী। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে একইদিন রাত ৮টার দিকে জানাজা নামাজ শেষে শ্বশুর বাড়ি এলাকায় তার লাশ দাফন করা হয়।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাঙ্গুনিয়ার নাছির উদ্দিনের সাথে আরিফা মনির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আরিফা রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড তালুকদার বাড়ি এলাকার বাবুর্চি মনির আহমেদের দ্বিতীয় মেয়ে। আসন্ন কোরবানি ঈদে ছাগল দেয়াকে কেন্দ্র করে আরিফার সাথে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে তার চাচাতো ভাই মো. বাদশা বলেন, বড় আব্বুর ৪ মেয়ে, কোনো ছেলে সন্তান নেই। বাবুর্চি কাজ করে মেয়ে বিয়ে দেওয়া উনার পক্ষে সম্ভব ছিলনা। এলাকার মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয় করে বিয়ে দিয়েছিলাম। এরমধ্যে কোরবানি ঈদে ছাগল দাবি করছিল শ্বশুর বাড়ির লোকজন। বড় আব্বুর সামর্থ নেই, দিতে পারবেন না বলেছিল, তারা বলেছিল এবার না হলে আগামী বছর দিতে। বড় আব্বু রাজি হননি। এর জের ধরে আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয়। আমরা বোনের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখি লাশ নিচে, কানে-নাকে রক্ত ছিল। তবে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানায়, গৃহবধূ আরিফা তুচ্ছ বিষয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সকলের অগোচরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর সংবাদে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হাস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।












