পাবর্ত্য জেলা রাঙামাটিতে সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অপরাধে মো. ফারুক(৪০) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
একইসঙ্গে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার(২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় বেতবুনিয়া ইউনিয়নের ডলুছড়ি গ্রামের সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে তার মায়ের আপন ফুফাতো ভাই মো. ফারুক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করার পর এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে গেলে তার পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। পরবর্তীতে মেয়েটি সন্তান প্রসবের তিন দিন পর নবজাতকের মৃত্যু হয়। ডিএনএ টেস্টেও নবজাতকের পিতা মো. ফারুক বলে প্রমাণিত হয়।
রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, “এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। এই রায় ভবিষ্যতে এ ধরনের জঘন্যতম অপরাধ থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করবে বলে মনে করি। অর্থদণ্ড থেকে প্রাপ্ত টাকা বাদীর পরিবারকে দেওয়া হবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে না পারলে সম্পত্তি ক্রোক করে প্রাপ্ত অর্থ ভিকটিমকে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সুম্মিতা চাকমা বলেন, “এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। আমার মক্কেল ন্যায়বিচার পাননি। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।”