রাঙামাটির বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মনজুরুল হকের স্পিডবোটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকার এক যাত্রী পানিতে ডুবে মারা গেছে।
নিহতের নাম শান্তিরঞ্জন চাকমা (৩৭)। তার বাড়ি শুভলং ইউনিয়নের শিলারডাক গ্রামে বলে জানা গেছে।
আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বরকল উপজেলার শুভলং ইউনিয়নের শুভলং ঝর্ণার পাশে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার সকালে শুভলং ঝর্ণা এলাকা পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী। সেখান থেকে ফেরার পথে দুপুর আড়াইটার দিকে বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিনচালিত একটি ছোট
নৌকার সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্পিডবোটটির ধাক্কা লাগে।
এতে মাথায় ও কাঁধে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পানিতে ডুবে মারা যান শান্তিরঞ্জন চাকমা।
প্রত্যক্ষদর্শী শুভলং ঝর্ণার পর্যটন কেন্দ্র ও রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থাপক নিরঞ্জয় চাকমা বলেন, “নিহত শান্তিরঞ্জন চাকমা ও স্থানীয় বিমল চাকমা রবিবার শুভলং থেকে ফিরছিলেন। ফেরার পথে ইউএনও’র স্পিডবোটটির সঙ্গে তাদের ছোট নৌকাটির ধাক্কা লাগে। বিমল চাকমা পানিতে লাফ দিয়ে প্রাণে বাঁচলেও শান্তিরঞ্জন চাকমা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পানিতে ডুবে মারা যান।”
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল রবিবার বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বরকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জসিম উদ্দিন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মনজুরুল হক বলেন, “শুভলং ঝর্ণাটি সচল রাখার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সকালে সেখানে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে এ দুঃখজনক ঘটনা ঘটল।”
তিনি বলেন, “আমাদের স্পিডবোটটি যখন বরকলের উদ্দেশে রওনা করছিল ঐ সময় ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকাটি অপরদিক থেকে এসে আমাদের সাথে ধাক্কা লেগে যায়। স্পিডবোটেও ছিদ্র হয়েছে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় সেনাক্যাম্প কমান্ডার ও
পুলিশের কাছ থেকে উদ্ধারকারী ডুবুরি দলের জন্য যোগাযোগ করি কিন্তু তাদের ডুবুরি না থাকায় রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় বিকেলে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে মরদেহ উদ্ধারের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের হাতে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।” শান্তিরঞ্জনের দাহ ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।