রাউজান বাগোয়ান ইউনিয়নের উত্তর গশ্চি চৌধুরী মসজিদের ভিতর দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার জুমাতুল বিদা নামাজের পর সংঘটিত এই ঘটনায় জড়িত দুই পক্ষই রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। পুলিশের এসআই জাবেদ দুটি পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান। বিবাদে জড়িত মসজিদের মুসল্লিদের একজন আবু তালেব অভিযোগ করেছেন এলাকার অপর এক মুসল্লি নজরুল ইসলাম বাদশা নিজেকে মসজিদ কমিটির সভাপতি দাবি করে মুসল্লিদের মতামত না নিয়ে নিজের মনগড়া নিয়মে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা বাদশার মনগড়া কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা করেন। মসজিদে এতেকাফ অবস্থায় থাকা মুসল্লিকেও মারধর করেন। আবু তালেবের অভিযোগ বাদশাকে মুসল্লিরা সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেননি। তিনি গায়ের জোরে এই পদ দখল করে আছেন। তার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গেলে বাদশা মুসল্লিদের ওপর চড়াও হন। বাদশার ছেলেরা ব্যাটারিচালিত যন্ত্র দিয়ে এক প্রতিবাদকারীর শরীরে ইলেক্ট্রিক সর্ট দিয়েছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছে।
অপরদিকে প্রতিপক্ষ আবু তালেব গংদের বিরুদ্ধে নজরুল ইসলাম বাদশার অভিযোগ– মসজিদের উন্নয়নে অভিযোগকারীদের বিন্দুমাত্র অবদান নাই, মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন ও রমজানে তারাবির নামাজের যে হাফেজ রাখা হয়েছে তারা পাড়ার অন্যান্য মুসল্লির মত খরচের টাকা দেয়ার পক্ষে নন। গত কয়েক বছর থেকে তারা কোনো টাকা না দিয়ে বিতর্ক ও ঝামেলা করে আসছেন। এসব নিয়ে মসজিদের ভিতর দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে তর্কবির্তক হয়েছে। আবু তালেবের ছেলেরা আমার ওপর আক্রমণ করে আহত করেছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশ বৈঠকের জন্য ডেকেছে। তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা দুই পক্ষকে ডাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।