রাউজানে খালের মুখে অকেজো

স্লুইচ গেট মেরামত কাজ শুরু সুফল পাবে কৃষকরা

রাউজান প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ

রাউজানে খালের মুখে অকেজো স্লুইচ গেটগুলো মেরামত কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সম্প্রতি এ সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। ফলে এখন এর সুফল পাবে কৃষকেরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর সাথে সংযুক্ত প্রতিটি খালের মুখে অকেজো হয়ে থাকা স্লুইচ গেট গুলো এখন কৃষকদের জন্য গলার ফাঁস হয়ে আছে।

প্রায় চার দশক আগে খালের মুখে স্লুইচ গেট বসানো হয়েছিল খালে জোয়ারের পানি ধরে রেখে বোরো চাষাবাদে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে।

এলাকার চাষাবাদে জড়িত কৃষকেরা বলেন, খালের মুখে নির্মাণ করা স্লুইচ গেট থেকে প্রায় এক যুগ সুবিধা পাওয়া গেছে। পরবর্তী সময় একে একে স্লুইচ গেট অকেজো হয়ে যায়। পানি ধরে রাখার প্রয়োজনে স্থাপন করা ধাতব পাঠাতন গুলো ভেঙ্গে যায়।

এতে বেশির ভাগ খালের জোয়ার ভাটার পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। খবর নিয়ে জানা যায়, খালের মুখে স্লুইচ গেট নির্মাণ ও পরবর্তীতে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এগুলোর দেখভালে দায়িত্বে ছিল কর্তৃপক্ষের নিয়োগ দেয়া কেয়ারটেকারদের উপর।

স্থানীয়রা বলেছেন, অকেজো হয়ে পড়া স্লুইচ গেটের দেখভালের জন্য যাদের উপর দায়িত্ব ছিল তারাও চলে গেছে। রাউজান অংশের খাল গুলোর মুখে অকেজো হয়ে থাকা স্লুইচ গুলোর কারণে সৃষ্ট জটিলতায় খাল গুলো ভরাট হয়ে যায়। জোয়ার ভাটার পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ার পাশাপাশি বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে এলাকায় বন্যাপরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে আসছে।

এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি খাল গুলো খনন করে দেন। একই সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অকেজো হয়ে থাকা স্লুইচ গেট গুলো মেরামত করার উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন। এর পর এখন স্লুইচ গেটগুলো মেরামতের কাজ শুরু হয়।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, উপজেলার মগদাই খালের মুখে নষ্ট হয়ে থাকা স্লুইচ গেটটি মেরামতের কাজ চলছে। তবে কৃষকদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষ এ কাজে হাত দিতে অনেক দেরি করে ফেলেছে। এক মাস আগে কাজ শুরু করা হলে এই খালের উপর নির্ভরশীল কয়েক শত হেক্টর অনাবাদি জমিতে বোরো চাষ করা সম্ভব ছিল। তারা বলেন মেরামত কাজ দ্রুত শেষ করা না হলে পানির অভাবে মৌসুমী ফলমুলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, কৃষকদের সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে পানির সংকট কেটে যাবে বলে আশা করি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, হালদা নদীর সাথে থাকা ১৭টি খালের মুখে স্লুইচ গেট রয়েছে। যেসব স্লুইচ গেট অকেজো আছে সেগুলো সচল করার কাজ চলমান আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ার হত্যা মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধএইচএসসি উত্তীর্ণ সাফজয়ী ফুটবলার ঋতুপর্ণা