দেশের অনেক জেলায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় কোনো স্থায়ী কার্যালয় না থাকলেও রাউজানে আওয়ামীলীগের নামে কেনা জমিতে নির্মিত হয়েছে ১৪টি পাকা ভবন। ১৪ ইউনিয়নে নির্মাণ করা হয়েছে চার থেকে ছয় তলা ভবন। এর বাইরে উপজেলার কেন্দ্রীয় কার্যালয় রয়েছে পৌরসদরের মুন্সিরঘাটায়। এই কার্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে নিজেদের কেনা দুটি বিশাল ফ্লোরের আয় থেকে। পৌর আওয়ামী লীগেরও রয়েছে পৃথক কার্যালয়। দলীয় দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়- রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি উদ্যোগ নিয়ে দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় এসব পাকা ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে একটি করে ভবনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও পৌর এলাকার নেতাকর্মীদের জন্য তিনি করে দিয়েছেন আরো দুটি কার্যালয়। ইউনিয়নে যেসব পাকা ভবন নির্মিত হয়েছে সেগুলো চার থেকে ছয়তলা পর্যন্ত। এসব ভবনে মূলদল ও অঙ্গসংগঠন সমূহের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় রাখা হয়েছে পৃথক স্পেস। ভবনের অবশিষ্ট অংশে রয়েছে দোকানঘর, ব্যাংক বীমা অফিস ও আবাসিক ফ্লোর করার মত ব্যবস্থা। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন- ১৪ ইউনিয়নের ভবন সমূহ নির্মিত হয়েছে আওয়ামীলীগের নামে কেনা জমিতে। দলের জন্য স্থায়ী সম্পদ গড়ার উদ্যোক্তা রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
এই সাহসী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সাংসদের ব্যক্তিগত তহবিলের টাকা ছাড়াও ভবন নির্মাণ কাজে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন দলের স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গ। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ ইউনিয়নে ছয়তলা ভবনের অবকাঠামো হয়ে গেছে। কোনো কোনোটির মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। দোকান ও অফিস স্পেস ভাড়া দেয়া হয়েছে। পূর্বগুজরা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ অফিস ভবনটি নির্মাণ ও তদারকিতে রয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মফজল হোসেন। তিনি বলেছেন- দলের পাঁচতলা ভবনের পুরোটাই এখন ব্যবহার উপযোগি। আটটি দোকান ভাড়া দেয়া হয়েছে, একটি বড় ফ্লোরে দলের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। বাকি ফ্লোর সমূহ ভাড়া দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বাগোয়ান ইউনিয়নে নির্মিত ভবনের নিচের ফ্লোর দলের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। বাকি কিছু অংশ ভাড়া দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী আজাদীকে বলেন- চলার পথে যতটুকু দৃষ্টি যায়,কল্পনা করি অসুন্দর সবকিছু সুন্দর করে সাজাতে। সীমিত সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করি সুন্দর, কল্যাণকর কিছু করে দেশকে এগিয়ে রাখতে। তিনি বলেন- আমি কাজের অনুপ্রেরণা পাই জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে। নেত্রীর ধৈর্য্য, একাগ্রতা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। অসম্ভব সবকিছুকে সম্ভব করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অনুপ্রেরণা পাই। ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় একটি উপজেলায় ১৬টি স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ দরকার। তাছাড়া দল পরিচালনায় দরকার টাকা-পয়সাও। দলের নামে যেসব ভবন করা হয়েছে,এসব ভবনের ফ্লোর ও দোকান ভাড়া থেকে যেই আয় আসবে তা দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সহায়ক হবে। কারো কাছ থেকে নিতে হবে না কোনো চাঁদা। দেশের মানুষের কল্যাণে অনেক কিছু করার স্বপ্ন মনের মধ্যে লালন করলেও সীমিত ক্ষমতার গণ্ডির মধ্যে থেকে অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না।







