রমজানের অবিচ্ছেদ্য অংশ নামাজে তারাবিহ্‌

আ ব ম খোরশিদ আলম খান | মঙ্গলবার , ২৮ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

সিয়াম সাধনা এবং নানাবিধ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনের মাস পবিত্র রমজান। রোজার মাসের বড় অনুষঙ্গ ও ইবাদত বিশ রাকায়াত তারাবিহ্‌র নামাজ। পবিত্র রমজানে রাতে এশা ও বিতরের নামাজের মাঝে যে বিশ রাকায়াত নামাজ আদায় করা হয়, শরিয়তের পরিভাষায় এই নামাজকেই তারাবিহ্‌র নামাজ বলা হয়। রোজার সঙ্গে রয়েছে নামাজে তারাবিহ্‌র অচ্ছেদ্য যোগসূত্র। রোজা যেমন মাসজুড়ে প্রতিদিন রাখতে হবে, তেমনি প্রতি রাতে নামাজে তারাবিহ্‌ও পড়তে হবে। তারাবিহ্‌র নামাজ বিশ রাকায়াত আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। আরবি ‘তারবিহা’ শব্দের বহুবচন ‘তারাবিহ্‌’। যার অর্থ বিশ্রাম করা, আরাম করা।

এই নামাজে চার রাকায়াত পর পর বিশ্রাম নেয়া হয়। তাই এর নাম তারাবিহ্‌। তারাবিহ্‌ মানেই যেহেতু বিশ্রামতাই তা পড়তে হবে ধীরস্থির চিত্তে। নামাজের সংখ্যা বেশি। তাই তা তাড়াতাড়ি কম সময় নিয়ে যেনতেনভাবে পড়ার সুযোগ নেই। তারাবিহ্‌র নামাজ জামাআতের সঙ্গে মসজিদে গিয়ে আদায় করা উত্তম। তবে একাকীও পড়া যায়। তাতে তারাবিহ্‌র সুন্নাত আদায় হলেও জামাআতের সওয়াব মিলবে না। আর তারাবিহ্‌র নামাজে পূর্ণ কোরআন মজিদ খতম করা সুন্নাত। তবে তা সবার জন্য আবশ্যক নয়। পারলে সুযোগ থাকলেই খতমে তারাবিহ্‌ পড়া ভাল। না হয় সূরা তারাবিহ্‌ পড়া যায়। কোনো মুসল্লি শারীরিকভাবে সক্ষম না হলে বা বয়োবৃদ্ধ হলে তার জন্য খতমে তারাবিহ্‌তে শামিল হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।

অথচ, তারাবিহ্‌র নামাজে কোরআন মজিদ খতম করা ফরজ বা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নয়কেবল সুন্নাত। তাই খতমে তারাবিহ্‌ শেষ হওয়ার পর অবশিষ্ট দিনগুলোতে তারাবিহ্‌্‌র নামাজে শরিক না হওয়ার প্রবণতা অবশ্যই গর্হিত ও অপছন্দনীয়। নামাজে তারাবিহ্‌্‌র ফজিলত বর্ণনায় প্রিয় নবী () হাদিসে পাকে বলেন-‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রোজার মাসে নামাজে তারাবিহ্‌্‌ আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ (সূত্র : বুখারি শরিফ)। অতএব, রোজার অবিচ্ছেদ্য অংশ বিশ রাকায়াত নামাজে তারাবিহ্‌্‌ আদায়ের মাধ্যমে আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে রোজার মাহাত্ম্য অর্জন করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅন্তত রোজার মাসে জনগণকে আন্দোলন থেকে নিস্তার দেন : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধখালের বাঁধ অপসারণে অগ্রগতি কতদূর