রবিন ঘোষ : মনে পড়ে অজস্র স্মৃতি

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী | বুধবার , ৯ নভেম্বর, ২০২২ at ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ


তাঁর আড্ডা কিন্তু থামেনি। জীবনে অনেক টানা-পড়েন, দুঃখ-কষ্ট, অপমান-লাঞ্ছনা সহ্য করেছেন-কিন্তু তাঁর ভাবের জগতে তিনি রাজাধিরাজ হয়ে থেকেছেন সমগ্র জীবন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি তাঁর ছিলো। রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য, দর্শন, সমাজ বিজ্ঞান, শিল্প-সংস্কৃতি তাঁর অধিত ছিল। আড্ডায় সুন্দর বলতেন। বিশ্ব সাহিত্যের পরিসরেও তাঁর পঠন-পাঠন ছিলো। তাঁর বড় মেয়েকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর (সম্মান) করিয়েছেন, নভেল লরিয়েট, অস্কার লরিয়েটদের জীবন পাঠ তাঁর ছিলো। তিনিও স্নাতকোত্তর করেছেন সম্মানসহ হিসাবশাস্ত্রে। কিন্তু সংসার জীবনের হিসাবটা তাঁর বড় গোলমালে গেছে। বলতে গেলে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছিলেন। রুচি আদর্শ ঐতিহ্য শিল্প সাহিত্য রাজনীতি সংস্কৃতি তাঁর আজন্ম পাঠ।

এই তাঁকে নিয়ে আমি যখন ভাবছি, লিখতে চেষ্টা করছি আমার শরীরে মনে অন্য রকম শিহরণ খেলে যাচ্ছে। আমি নিজকে ঋদ্ধ, ধন্য মনে করছি যে আমাদের প্রিয় মানুষ, আমার প্রিয় শ্রদ্ধেয় অগ্রজ রবিন ঘোষ’র ভালোবাসা ধন্য আমি। তাঁর সান্নিধ্যে থাকবার, তাঁর সঙ্গে আড্ডা করবার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের বিশেষ বিশেষ আড্ডায় তাঁর উপস্থিতি ছিল নিয়মিত। জলযোগের আড্ডায়, গোলাপ সিং লেইনের কবি সুনীল নাথের আড্ডায়, নন্দন কাননে চা-মিষ্টির দোকান বোস ব্রাদার্সের আড্ডায়, বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন আমাদের সাহিত্যের আর এক রাজপুত্র অরুণ দাশগুপ্তের বাসায় পরবর্তীতে যোগেশ ভবনে অরুণ দাশগুপ্তকে ঘিরে যে আড্ডা চলতো তাতে অরুণ দাশগুপ্তের অন্যতম প্রিয়জন অন্য অনেকের মতো এই রবিন ঘোষও নিয়মিত থাকতেন। তিনি (অরুণ দাশগুপ্ত) কোথাও ট্যুরে গেলে তাঁর প্রিয় মানুষদের জন্য কিছু না কিছু আনতেন। একবার এই রবিন ঘোষের হাতে তুলে দিলেন সরস্বতীর মূর্তি। এ ক্ষেত্রে বলবো, জহুরি জহর চিনে, বাইন্যা চিনে সোনা, পিরীতি-এ মন চিনে, মন চিনে আপনা।

আমার শরীরে মনে শিহরণ বয়ে চলেছে। আমি তাঁকে নিয়ে কেবলি ভাবছি। তাঁকে চেনার পর থেকেই ছায়ার মতো তিনি আমার সঙ্গে হাঁটতেন অথবা আমি অহর্নিশ তাঁর সংঘের ভেতর চলতাম। একটি সংঘ যাপন চলতো সব সময়। এই ১৪ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার রাত ৮-৯ এ রকম সময়ে এডভোকেট শিশির ভট্টাচার্য জানালেন-রবিন ঘোষ আর নেই। তিনি চলে গেছেন। তাঁর লাশ এনায়েত বাজারের বাসার সামনে ফ্রিজারে রাখা আছে আমরা যাচ্ছি, আপনি আসুন। কী হয়েছিল তাঁর? জেনেছি প্রায়দিন ধলঘাট গ্রামের বাড়ি যেতেন মাছের প্রজেক্ট দেখাশোনার কাজে। সেদিও কর্ণফুলী ব্রীজ’র বাস স্টেশনে গেছেন। শরীর খারাপ লাগাতে আবার বাসায় ফিরে আসেন। বমি করেছেন। বাসায় বউদি, মেয়ে, মেয়ে জামাই সবাই মেডিকেলে নিতে চাইলে তিনি যাননি। শেষ পর্যন্ত যখন মেডিকেলে নেয়া হলো, পথেই হয়তো তিনি মৃত্যুর কোলে চলে গেছেন, মেডিকেল মৃত ঘোষণা করে।

তিনি তো হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলেন। তাঁর প্রিয়জনেরা তো নিঃস্ব হয়ে গেল, মেয়েরা হঠাৎ করেই পিতাকে হারালো, বউদি তাঁর জীবন সঙ্গীকে হারালেন। তাঁর আড্ডার বন্ধুরা প্রিয় আড্ডারুকে হারালো, একজন মূল্যবোধ সম্পন্ন আলোকিত মানুষকে পাড়া-প্রতিবেশী সমাজ রাষ্ট্র হারালো!

তাঁকে দেখতে আমি আর শিবপ্রসাদ এক সঙ্গে গেছি। রবিন ঘোষ যেন ঘুমোচ্ছেন, শান্ত হয়ে আছেন। বুকের ভেতর যন্ত্রণা কষ্ট ফলা পাকিয়ে উঠছে যেন-একবার বলেছিলাম, ‘যোগসূত্রে’র একটি সংখ্যা আপনাকে নিয়ে হতে হবে। কেন পারলাম না করতে? তাঁর জীবনকালে তাঁকে নিয়ে একটি সংখ্যা? তিনি তো কম লিখেন নি। তাঁর একটিও বই হলো না কেন? অসম্ভব রকম গুটিয়ে রাখতেন নিজেকে প্রচার বিমুখ মানুষ বটে। তাঁর সংঘে’র কথা খুব মনে পড়ছে। মনে পড়ছে অজস্র কথা!
পরে আমি দাদার বাসায় বউদির কাছে যাচ্ছি, দেখি দাদার নিত্যদিনের আড্ডার সঙ্গী কবি আশীষ সেন রবিন দার বাসা থেকে নেমে আসছেন। আমি শিশুর মতো করে আশীষ সেনকে বুকে জড়িয়ে ধরে ফুঁফিয়ে কাঁদছি। চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে নামছে। আশীষ দাও আমাকে বুকে জড়িয়ে রাখলেন। বউদির কাছে গেলাম। বউদি আহাজারি করছেন। বড় মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। দাদার ছোট মেয়েটা এখনও ঢাকায়। রওয়ানা হয়েছে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। এখনও পাঠ শেষ করতে পারেননি মেয়েটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সম্মানে উদ্ভিদ বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে মেয়ে। দাদার মুখে শোনা। দুর্গোৎসবের আগে মেয়ে ঢাকা থেকে আসছে।

দুপুর বেলা হবে, দাদার সঙ্গে দেখা নিউ মার্কেট এলাকায়। দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। হয়তো বড় মেয়ের বাসা থেকে ফিরছিলেন, বললেন আমার ছোট মেয়ে আসছে। ট্রেন স্টেশনে যাচ্ছি। দাদার সঙ্গে একবার দেখা কমলাপুর স্টেশনে, দাঁড়িয়ে আছেন, সঙ্গে তার ছোট মেয়ে। এসব কথা এখানে কেন বলতে চাইছি? -তাঁর দু’টো মেয়েকে শত সংগ্রামের ভেতরও উচ্চ শিক্ষা দিতে পেরেছেন। তাঁর জীবনের দর্শন, আদর্শ মেয়ে দু’টির ভেতরও সঞ্চরণশীল হয়তো। তাঁর আদর্শ জাগিয়ে গেছেন হয়তো।

রবিন ঘোষ’র কোনো বই প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু এ কথা সত্য যে তিনি কম লিখেননি। খুব সুন্দর তাঁর লেখার হাত। আমার সম্পাদিত যোগসূত্র (লিটল ম্যাগাজিন) পত্রিকায় তাঁর দুটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। একটি গল্পের নাম ছিল, ‘মিছামিছি নষ্ট হল কষ্টে গেল কটা দিন’। সূচিপত্রে লিখেছিলাম মেধাশূন্যতা ও বোধহীনতার মধ্যে বসবাসের স্বরূপ এবং তার সামাজিক বাস্তবতা নিয়ে ইস্পাত কঠিন দৃষ্টিভঙ্গিজাত চেতনার অধিকারী রবিন ঘোষ এখানে মননশীল সমাজ বিশ্লেষকও। যোগসূত্রে প্রথম সংখ্যায় লেখাটি পত্রস্থ ছিল।

যোগসূত্র’র তৃতীয় সংখ্যায় সূচিপত্রে তাঁর পরের গল্প সম্পর্কে লিখেছিলাম-
ইস্পাত কঠিন বাস্তবতাকে মর্মস্পর্শী করে গল্প করেছেন লেখক। তাঁর ‘সাদা মুখ বাটা’ গল্পটি হাড্ডিসার মানুষের বাহির অন্তর এর নানা বৈপরীত্য বৈচিত্রকে দেখিয়ে দেয়।

১৫/১০/২০২২ শনিবার তাঁর ধলঘাটের বাড়িতে তার শব বাড়ির মেঝেতে রাখা হয়েছে। একটি সাদা ধূতিতে তাঁর দেহ ঢাকা। চোখ দু’টির পাতায় তুলসী পাতা বসানো। বুকের মধ্যে মুখ রেখে বউদি পড়ে আছেন, তাঁর মুখে কপালে হাত বুলাচ্ছেন, বাড়ি উঠোনে আমরা পৌঁছলে, আমাদের দেখে ফুঁফিয়ে কাঁদছেন, কাঁদতে কাঁদতে বলছেন-‘দেখ তোমার বন্ধুরা এসেছে…।’ আমারও চোখ জলে পূর্ণ হয়ে উঠেছে। রবিন ঘোষের শৈশবের বন্ধু এডভোকেট নিত্যলাল খাস্তগীর (পাখি দা) আড্ডার নিয়মিত সঙ্গী কবি আশীষ সেন, দাদার সুহৃদ এডভোকেট শিশির ভট্টাচার্য্য, আর তাঁর এই অনুজ আমি বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ছুটে গেছি তাঁর শ্মশান যাত্রায়। বাড়িতে তাঁকে যখন তেল মেখে শেষ স্নান করানো হচ্ছে, খাটিয়ায় তোলা হবে, পায়ের ওপর পড়ে বড় মেয়ে চিৎকার করে কাঁদছে, মেয়েরা কাঁদছে সমানে চোখে জল, বউদি পায়ের ওপর মাথা রেখে কাঁদছেন আর যখন চিতায় তুলে দিচ্ছে তাঁকে, তাঁর অনুজ ধলঘাট’র চেয়ারম্যান রণবির ঘোষ (টুটুন) হাউমাউ করে কাঁদছেন, বুকের ওপর লুটিয়ে পড়েছেন। পাড়া প্রতিবেশীরা অশ্রুসজল তখন।

শত কষ্টের ভেতরও সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে, একথাটা কি রবিন ঘোষের জীবনে সত্য ছিল? অভাব অনটনের সংসারেও বউদি সম্পর্কে রবিন দা’র ভীষণ মুগ্ধতা, ভালোবাসায় পূর্ণ ছিল; তাঁর কথায় যেটি প্রকাশিত হতো। আমরা জানি, রবিনদার স্ত্রী মানসী দত্ত সম্ভ্রান্ত সাংস্কৃতিক পরিবারের সন্তান ছিলেন।
এই দম্পতিকে অভিনন্দন তাঁরা সন্তানদের শত প্রতিকূলতার ভেতরও তাঁদের চেতনায়, আদর্শে গড়ে তুলেছেন। বড় মেয়ে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর। ছোট মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানিতে স্নাতক সম্মানে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে। এখন মাস্টার্স পড়ছে। এটিই হচ্ছে দাদা বউদির চরম সাফল্য। শিক্ষক হিসেবেও রবিন দা অসাধারণ ছিলেন। ভালো আবৃত্তি করতেন। সুন্দর লিখতেন। রাশিয়ান গল্প-সাহিত্য কি বেশি পড়তেন? রাশিয়ার সাহিত্যের প্রতি দুর্বলতা ছিল। সঙ্গীতজ্ঞ, সাহিত্যিক সুচরিত চৌধুরীর ছাত্র বংশীবাদক সুলতান’র ওপর অনুলিখনটি খুব সুন্দর লেখা ছিল।

‘আমার কাছে তিনি পত্রপল্লবে শোভিত একটি জীবন্ত বৃক্ষের মতই। তিনি আমাকে অনবরত ছায়া দিতেন এখনো দেন। তাই সুচরিত চৌধুরীর মৃত্যুর খবর প্রথম যখন শুনি সেই ভোরবেলা ঠাণ্ডা একটি হাতুড়ীর মতো বুকের মধ্যে ঘা মারতে লাগল। একটা তীব্র জ্বালায় বুকটা টিপ টিপ করে উঠেছিল। আমি বিশ্বাসই করিনি তিনি নেই-শক্তি প্রসাদের ছাত্র সুচরিত চৌধুরী সেই পান্না ঘোষের বাঁশি আর সামির খানের ভোকেলের ভক্তে সুচরিত চৌধুরী নেই তা আমি বিশ্বাস করি না। যদিও দেখেছি তার ফুলে ফুলে ভরা লাশ, জ্ঞানীগুণীর ভিড় নীরব, গম্ভীর অনেকেই কেঁদেছিলো খুব। তবু আমি বিশ্বাস করিনি সুচরিত দা নেই…।’

অবশ্য রবিন দা লিখেও ছিলেন পেশা তার লেখা। মাতা : মীরা রানী ঘোষ, পিতা : শচীন্দ্র নাথ ঘোষ (প্রকাশ ধনা ঘোষ)। কোনো একটি চাকরি কি করতে পারতেন না, কিন্তু কেন যে করলেন না-আপসকামিতা তাঁর চরিত্র বিরুদ্ধ। মুখের ওপর সত্য বলে দিতে পারতেন। অনায়াসে, প্রতিবাদের সঙ্গে বলতে পারতেন মুখের ওপর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র আদর্শ বুকে ধারণ করতেন। জাতির জনকের কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি, প্রজ্ঞার প্রতি তাঁর ছিলো গভীর আস্থা। তাঁকে তিনি খুব ভালোবাসতেন, মান্য করতেন। তিনি যে আদর্শে বিশ্বাস করতেন, ভালোবাসতেন তার থেকে কখনও বিচ্যুত হন নি। সরে আসেন নি। গড্ডলিকায় কখনও গা ভাসান নি।

বিনয়ের সঙ্গে বলছি সৌন্দর্যবোধ, মুক্তবুদ্ধি-চেতনা ও মানব প্রেমের আদর্শের অনুসারী মোতাহের হোসেন চৌধুরীর জীবনকালে কি কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল? তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত গ্রন্থ ‘সংস্কৃতি-কথা’ বাঙালির ঘরে ঘরে আজ পাঠ্য বটে। রবিন ঘোষেরও অজস্র লেখা রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তাঁর সন্তান, ভাই, সুহৃদ, বন্ধুজনেরা নিশ্চয়ই উদ্যোগ গ্রহণ করবেন তাঁর লেখা, পাণ্ডুলিপি সংগ্রহের। একের পর এক হয়তো তাঁর গ্রন্থ প্রকাশিত হবে। জেনেছি যে, রবিন দা’র সুহৃদ কবি বিজন মজুমদার সম্পাদিত ‘বাক-প্রতিমা’ তাঁকে নিয়ে স্মরণ সংখ্যা প্রকাশ করবে।

ভাবছি, তাঁর সন্তানেরা বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে। তারা অনেক বড় হবে, অনেক দূর তারা যাবে। এও ভাবি যে, ‘তোমায় আমি দেখেছিলাম বলে; কেবলি তোমার কথা ভাবি, ভাবনার ভেতর তুলি সাকো, তোমার চরণধ্বনি শুনি, তোমাকে উপলক্ষ করে পাঠ করছি-

তোমাকে ভালবেসেছি আমি
মৃত্যু এলে, মরে যেতে হবে
ভালোবাসা নদীর জলের মতো হয়ে রবে,
জলের থেকে ছিঁড়ে গিয়েও জল
জোড়া লাগে আবার যেমন নিবিড় জলে এসে।
দুই.
তোমার স্মৃতিকে বুকে রেখে বলি, হয়তো ওপারে তোমার সঙ্গে আবার দেখা হবে…আবার আড্ডা হবে, আবার কথা হবে…
তিন.
বাতাসে ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে তোমার পাঠ-
‘ঘরে আর মন টেকে না
উড়ে যায় আড্ডায় আড্ডায়
যেখানে মন খোলে, প্রাণ মেলে
যেখানে গল্প কথা কবিতা লতা
যেখানে খোলা ছিল বন্ধু দলে।’

লেখক : প্রাবন্ধিক, গল্পকার ও কলেজ শিক্ষক

পূর্ববর্তী নিবন্ধদূরের টানে বাহির পানে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রবাহ