‘রপ্তানি শুরু হলে বাংলাদেশ টিকা আগেই পাবে’

| মঙ্গলবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

অক্টোবরে ভারত কোভিড টিকা রপ্তানি শুরু করলে বাংলাদেশ প্রথম দিকেই তা পাবে বলে আশ্বস্ত করেছে ঢাকায় দেশটির দূতাবাস। টিকা রপ্তানির বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় এ আশ্বাস আসে ভারতীয় হাই কমিশন থেকে। হাই কমিশন বলছে, যৌক্তিক পরিমাণে সরবরাহ শিগগির শুরু হবে। বাংলাদেশের মতো অগ্রাধিকারে থাকা অংশীদাররা থাকবে প্রথম দিককার প্রাপকের তালিকায়। খবর বিডিনিউজের।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অঙফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশ কিনলেও দেশটি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় আটকে আছে ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা আসা। ছয় মাস বন্ধ রাখার পর আসছে অক্টোবর থেকে টিকা রপ্তানি পুনরায় শুরুর ঘোষণা সোমবার দেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মন্দাভিয়া। তিনি বলেন, ভারত সরকার উদ্বৃত্ত টিকা থেকে রপ্তানির পাশাপাশি আগের মতো অনুদানও দেবে। আর এক্ষেত্রে প্রতিবেশীরাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় হিমশিম খাওয়া ভারত এ বছরের এপ্রিলে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদক দেশ ভারতের ওই সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশসহ অনেক দেশই বিপাকে পড়ে। সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনাভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে। এরপর আর টিকা পায়নি বাংলাদেশ। এর আগে ভারত সরকার উপহার হিসেবে ৩২ লাখ ডোজ টিকা পাঠিয়েছিল বাংলাদেশে। এদিকে পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত চীন থেকে সিনোফার্মের টিকা কেনার জন্য সরকার চুক্তি করে। সেই টিকার পাশাপাশি টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাঙ থেকেও টিকা আসছে এখন। সেই টিকা দিয়েই এখন আবার সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বিপজ্জনক এক জাল
পরবর্তী নিবন্ধদেশে ১৬ সপ্তাহে সর্বনিম্ন মৃত্যু