পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে গত অর্থ বছরের চেয়ে ৬ হাজার ১১০ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩–২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৮৭ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল জাতীয় সংসদে ২৩–২৪ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে সড়ক টানেল নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিগগিরই এটিকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। খবর বাংলানিউজের।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমরা সড়ক, সেতু, কালভার্ট, ব্রিজ ইত্যাদি নির্মাণ করার ফলে সারা দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সুগঠিত মহাসড়ক তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে সারা দেশে ২ হাজার ৩৪২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে বাস্তবায়িত দেশের ৮টি বিভাগের ২৫টি জেলায় মোট ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৪৯৪ মিটার। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত র্যাম্পসহ ৪৬.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ের নির্মাণ জুন, ২০২৪ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
রেল খাতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কঙবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের নিকটে ঘুমধুম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে রেল খাতের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৯ সালের পর থেকে ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত ৭৩৯ দশমিক ৭১ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ২৮০ দশমিক ২৮ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, ৭৩২টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ এবং ১৪৪টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে। যানজট নিরসন ও নিরাপদ সড়ক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসন ও দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ৬টি মেট্রোরেল লাইনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।
