যে কারণে হত্যা করা হলো পিতা-পুত্রকে

প্রধান আসামির জবানবন্দি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২১ at ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ি থানার চাঞ্চল্যকর পিতা-পুত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে এ দুটি মামলায় আরও নয়জন গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
উভয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. কামাল আব্বাসের নেতৃত্বে গত ১৫ নভেম্বর প্রধান আসামি জসিম উদ্দিন প্রকাশ মানিককে পাহাড়তলী সাগরিকা গরুর বাজারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্যমতে ফটিকছড়ি থানাধীন মানিকপুর গ্রামের নিশ্চিন্তাপুর এলাকার ঘটনাস্থলের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়। গতকাল সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জানান, লিজের জমি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে প্রথম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। দীর্ঘ ৮ মাসেও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় বাদী মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে বিষয়টি আসামিরা অবগত হয়ে বাদী এজাহার মিয়াকেও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসআই মো. কামাল আব্বাস জানান, ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফকির আহাম্মদ (৩৩) ফটিকছড়ি হলুদ্যা খোলা এলাকায় তার খামার বাড়ি থেকে সিগারেট কিনতে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেননি। ২৯ সেপ্টেম্বর কাঞ্চননগর ইউপির মানিকপুর হলুদ্যা খোলা সাকিনস্থ লক্ষীছড়ি সীমান্তবর্তী দুইদ্যা খালে ফকির আহাম্মদের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এ সংক্রান্তে তার পিতা এজাহার মিয়া (৭০) বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা করেন।
গত ২৪ জুন সকাল নয়টার দিকে এজাহার মিয়া (৭০) ও তার ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৩) গরুর পাল নিয়ে ফটিকছড়ি থানাধীন নিশ্চিন্তপুর এলাকায় আহমদের পতিত জমিতে চাষ করতে যান। ইসমাইল হোসেন গরু চরাতে থাকেন ও এজাহার মিয়া ধানের জালা ফেলার জন্য জমি চাষাবাদ করতে থাকেন। বিকেল পাঁচটার দিকে ইসমাইল গরু নিয়ে বাড়িতে চলে যান। কিন্তু রাত আটটার সময়ও এজাহার বাড়ি না যাওয়ায় তার স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজন আশেপাশে খোঁজ করতে থাকেন। ২৫ জুন বিকাল তিনটার দিকে নিশ্চিন্তপুর বাঁশঝাড়ের নিচে এজাহার মিয়ার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এই সংক্রান্তে ভিকটিমের স্ত্রী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা করেন।
আলোচিত মামলা দুটির মধ্যে এজাহার মিয়া হত্যা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসআই মো. কামাল আব্বাস। তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন। এজাহার মিয়া হত্যা মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলাকালীন তার পুত্র ফকির আহাম্মদ হত্যা মামলাটির রহস্যও একই সূত্রে গাঁথা মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় ১৯ অক্টোবর মামলাটির তদন্তও তার ওপর অর্পিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক মাসেও উদ্ধার হননি অপহৃত রাজমিস্ত্রি
পরবর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগ হেরেছে আওয়ামী লীগের কাছে : তারানা হালিম