যেমন ছিল মীরসরাই ও হাটহাজারীর চিত্র

মীরসরাই ও হাটহাজারী প্রতিনিধি | সোমবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম(মীরসরাই) আসনে গতকাল সকাল ৮টা থেকেই প্রায় সকল কেন্দ্রে স্বল্প পরিমাণ ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার ১০৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে প্রায় অর্ধশত কেন্দ্রে ১০ জনের বেশি নারীপুরুষের লাইন দেখা যায়নি। তবে কিছু কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোটারের লম্বা লাইন দেখা গেছে। সকাল ১১টার পর বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রায় সকল কেন্দ্রেই থেমে থেমে দুচারজন ভোটার ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

এই আসনের স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন জানান, রাত থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের নিকটবর্তী স্থানে ও বিভিন্ন এলাকায় ককটেল ও বাজি ফুটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে দুর্বৃত্তরা। তাই অনেক কেন্দ্রে এজেন্টও ভয়ে যায়নি। কিছু কেন্দ্রে জালভোট ও ঈগলের ভোটারদের বাধা সৃষ্টির অভিযোগও তিনি করেন।

তবে নৌকার প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক চমৎকার একটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি সকল ভোটারদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন পুরো মীরসরাইতে উৎসবমুখরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

হাটহাজারী : হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম৫ আসনে গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। সরোজমিন পরিদর্শনে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। সকাল ৯টায় ফরহাদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে লাইনে কোন ভোটার দেখা যায়নি। একইভাবে সকাল ৯টা ১০মিনিটে নাজিরহাট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে লাইনে কোন ভোটার দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে নয়টায় ধলই আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও লাইনে ভোটার দেখা যায়নি। উত্তর ছাদেক নগর সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্র ও মির্জাপুর বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। চারিয়া বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জানান, ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল। লোকজন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করেছেন। পৌরসভার আজিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ২২ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়। মেখল পেস্কারবাড়ি ভোট কেন্দ্রে দুপুর ১টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত ভোট কাস্টিং হয়েছিল ১৫ শতাংশ। শৈলবালা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিকাল ৩টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ভোট কাস্টিং হয়েছিল ৩৫ শতাংশ। ফতেয়াবাদ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত ১২ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছিল। দক্ষিণ মাদার্শা আকবরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে পৌনে চারটা দিকে কোনো ভোটার দেখা যায়নি। এর আগে দুপুর একটার দিকে গুমানমর্দ্দন কাটাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলযোগের গুজব উঠেছিল। সংবাদ পেয়ে কেন্দ্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হলে কাউকে সেখানে দেখা যায়নি বলে জানান সহকারী রিটানিং অফিসার এ বি এম মসিউজ্জামান। উপজেলা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ ভোট কাস্টিং হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথমবার ভোট দেয়ার আনন্দ
পরবর্তী নিবন্ধশমসের মবিনের শোচনীয় পরাজয়