প্রথমবার ভোট দেয়ার আনন্দ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

শারমিন আকতার ও সালমা আক্তার শ্যামা। দুই বোন। প্রথমবার ভোটার হয়েছেন। চট্টগ্রাম৯ আসনের ভোটার তারা। জীবনের প্রথম ভোট দিবেন; সেই উচ্ছ্বাস ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ারও প্রায় ১৫২০ মিনিট আগে চলে আসেন মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে। তারা যখন লাইনে দাঁড়ান তখন অন্য কোনো ভোটারও আসেনি। ফলে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রের প্রথম ভোটার ছিল এই দুই বোন। একে তো প্রথম ভোটার, তার উপর কেন্দ্রেও প্রথম ভোট দেয়া, তাই চোখেমুখে ছিল আনন্দের ছাপ। দুই বোন আজাদীকে বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে পেরে অনেক খুশি। কীভাবে ভোট দেব, কীভাবে সিল মারতে হবে সেগুলো নিয়ে টেনশনে ছিলাম। আব্বুআম্মুর কাছ থেকে ধারণা নিয়েছি। তাই সমস্যা হয়নি। প্রথম ভোট দেয়াকে স্মরণীয় করতে তাড়াতাড়ি ভোট কেন্দ্রে আসেন বলেও জানান তারা।

এদিকে একই কেন্দ্রের ভোটার ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম৯ আসনের নবনির্বাচিত সাংসদ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লের বাটন। বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাওয়ার পর গতকাল প্রথম ভোট দিলেন তিনি। তিনি সাংবাদিকদের বাংলায় বলেন, ‘আমার অনেক খুশি লাগছে। সব সিস্টেম অনেক স্মুথ। আমি প্রথমবার ভোটার হয়েছি। অনেক খুশি লাগছে ভোট দিতে পেরে। জয় বাংলা।’ জীবনে প্রথম ভোট দিয়েছেন এমন বেশ কয়েকজন ভোটারের দেখা মিলে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে। সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এমনই একজন চন্দা পারিয়াল। থাকেন রহমতগঞ্জ এলাকায়। তিনি বোয়ালখালীর শাকপুরা এলাকার ভোটার। প্রথমবার ভোট দিতে তিনি গতকাল বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বোয়ালখালী যাচ্ছিলেন। সাথে ছিলেন বড় বোন, ভাগ্নে ও মা। কালুরঘাট ফেরিঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখনই তার সাথে কথা হয়।

প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়ার আনন্দের কথা জানিয়ে চন্দা আজাদীকে বলেন, প্রথমবার ভোট দেব তাই এতো কষ্ট করে রহমতগঞ্জ থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত আসছি। ব্যক্তিগত গাড়ি গ্যারেজে রেখে মোটর রিকশায় চড়তে হয়েছে। ভাড়া গুণতে হয়েছে ৪০০ টাকা। এরপরও ভালো লাগছে। প্রথমবার ভোট দিব এ জন্য কষ্টকে আর কষ্ট মনে হচ্ছে না। ফেরিঘাটে যখন চন্দা পারিয়ালের সাথে কথা হচ্ছে, তখন ফেরি আসার কোনো লক্ষণ নেই। কখন আসবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। পাশের কালুরঘাট ব্রিজ দিয়ে অনেকে হেঁটে পার হচ্ছিলেন। চন্দা পারিয়াল, তার বোন কল্যাণী পারিয়াল আর মা পূর্নিমা তা দেখে চটপট করছিলেন। অনেকের মতো তারাও কালুরঘাট ব্রিজ হয়ে গন্তব্যে ছুটতে চাইছেন। কিন্তু সাথে থাকা ছোট শিশুর কথা ভেবে তা আর হল না। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে স্বামী, সন্তান, বোন আর মাকে সাথে করে দৌঁড়ে গিয়ে নৌকায় চেপে বসলেন চন্দা পারিয়াল। চন্দার মা পূর্নিমা যাওয়ার সময় হাত নেড়ে বিদায় বললেন। এর আগে কথার ফাঁকে চন্দার মা পূর্ণিমা বলছিলেন, তার মেয়ে চন্দা প্রথম ভোট দিচ্ছেন। কল্যাণী আগেও ভোট দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুষ্টিয়ায় হেরে গেলেন হাসানুল হক ইনু
পরবর্তী নিবন্ধযেমন ছিল মীরসরাই ও হাটহাজারীর চিত্র