কর্ণফুলীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের উপ প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে স্থানীয় ফারুক, এজাহার, মানিক ও ফোরকানসহ ৬ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে নিহতের মা রাবেয়া বসরী বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ছুরিকাঘাতে নিহত হন মুরাদ। ৪ ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের বোর্ড বাজার এলাকায় ব্যবসায়ীক জমিজমার বিরোধে ফোরকান ও জুয়েল গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় উত্তেজিত উভয় পক্ষকে থামাতে গেলে ফোরকান গ্রুপের সদস্য মুরাদের বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। মুরাদ ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বোচার গোষ্ঠী বাড়ির মৃত রহিম আলীর পুত্র।
গতকাল বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বাদ এশা মনির সেরাং বাড়ি এলাকায় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, দুই পক্ষের মারামারি থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হন মুরাদ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।