স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের শেষ মুহূর্তের দর কষাকষিতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টায় চাপ বাড়ছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর ওপর। প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ সম্মেলনে চুক্তির যে প্রাথমিক খসড়াটি তৈরি হয়েছিল তার বদলে তৈরি হয়েছে নতুন একটি খসড়া। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর রুদ্ধদ্বার আলোচনার পর সেই খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সুর নরম করা হলেও কার্বন গ্যাস নির্গমনের মাত্রা বড় আকারে কমিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করতে জোর দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এবারের সম্মেলনে ৪৬টি দেশ নিয়ে গঠিত এলডিসি গ্রুপের উপদেষ্টা বাংলাদেশের জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক সালিমুল হক বলেন, আমরা যা চাই, তারা কিছুই দিতে চায় না। সবকিছুতেই তারা আটকাতে চায়। লক্ষমাত্রা পূরণে প্রতিশ্রুতি আদায়ের জন্য শেষ সময় পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব আমরা।
এ আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে জলবায়ু তহবিলের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ের বিষয়টি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে, উন্নত দেশগুলোকে সেই ব্যয় বহনের দাবি জানিয়ে আসছে উন্নয়নশীল দেশগুলো।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ঘোষণার প্রত্যাশা নিয়ে ৩১ অক্টোবর শুরু হয়েছিল এবারের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬। সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কা নিয়েই গ্লাসগোতে চলছে শেষ দিনের আলোচনা।
শেষ সময়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা কতটা; এমন প্রশ্নে সালিমুল হক বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব। যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। আমরা শেষ করব না এখানে। অত সহজে আমরা মানব না।