নতুন মেয়রের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতার সমস্যা বেশ পুরনো। প্রতি বর্ষাতেই নগরীর নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে বাসিন্দাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। প্রত্যেক মেয়রের কাছেই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের দাবি থাকে, কিন্তু মেয়াদ শেষে দেখা যায়, প্রাপ্তি সামান্যই। আগের মেয়ররাও চেষ্টা করেছেন। আমার জানা মতে, নব নির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী একজন সজ্জন ব্যক্তি। তিনি চট্টগ্রামের শহরের কোন কোন জায়গায় উন্নয়ন করা যায়, সেই ব্যাপারে ভালোই জ্ঞান রাখেন। হয়তো কাজের ক্ষেত্রে তার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে আমাদের প্রত্যাশা তিনি যেহেতু নগরের অভিভাবক তাই সবগুলো সেবা সংস্থার সাথে সমন্বয় করে একটি পরিকল্পিত ও আধুনিক নগরী গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে গ্রামের মানুষ এখন শহরমুখী হচ্ছে। ফলে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। এতে প্রচুর কর্মঘণ্টা ব্যয় হচ্ছে। তাই আমাদের সড়ক প্রশস্ত করার পাশাপাশি যুগোপযোগী ট্রাফিক সিস্টেম প্রণয়ন করতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে হাটহাজারী সড়কে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। বিষয়টি নিয়ে নতুন মেয়রকে ভাবতে হবে। এছাড়া আরেকটি সমস্যা হচ্ছে-মশার। কোনো নগরীতে মশার উপদ্রব থাকবে, এটি কাম্য হতে পারে না। তাই মশক নিধনেও মেয়রকে পরিকল্পিত ভূমিকা রাখতে হবে।