যার বিয়ে তার খবর নেই, পাড়া পড়শির ঘুম নেই

জান্নাতুল ফেরদৌস সায়মা | রবিবার , ৫ মার্চ, ২০২৩ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

আমাদের দেশে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর এ প্রশ্নটা আশেপাশের মানুষের মুখে শুনতে থাকা খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়স পঁচিশ পার হতেই যেন বিয়ের বয়স শেষ হতে চলল এমন ভাবনা। যেখানেই এ বয়সের তরুণ তরুণী যাবেন সেখানেই ছোট থেকে বড় সবার একটাই প্রশ্ন, ‘বিয়ের খবর কী?, ‘কেন বিয়ে করছো না’? ‘কোনো সমস্যা’? পুরনো বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা হলেও সেই একই ঘটনা, কিরে কবে বিয়ে করছিস? কার জন্য অপেক্ষা করছিস? এ ধরনের প্রশ্ন।

 

অথচ যাকে ঘিরে এসব উৎসাহ তার এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই। একেই তাই বলে ‘যার বিয়ে তার খবর নেই, পাড়া পড়শির ঘুম নেই’। যুগ পাল্টেছে, মানুষ পাল্টেছে, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়ও স্থান করেছে, দক্ষতার বিভিন্ন বিভাগে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। কিন্তু, যা আমাদের মধ্যে

আদিকাল থেকেই অপরিবর্তিত তা হল অন্যের বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তা। আমাদের দেশের বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এ যন্ত্রণার অবসান করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ প্রশ্নটি খুবই সাধারণ মনে হলেও বাস্তবতা ঠিক এর বিপরীত। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ঠাট্টার ছলে এই বিয়ের কথা জিগ্যেস করায় এক ২৮ বছর বয়সী যুবকের হাতে নিহত হয়েছেন প্রতিবেশী ৩২ বছর বয়সী একজন গর্ভবতী নারী।

বিয়ে প্রতিটি মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় এবং প্রত্যেকের এটা নিয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা থাকতেই পারে। এ ধরনের প্রশ্ন করে আমরা শুধু একটা মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে কোনো কারণ ছাড়াই অনুপ্রবেশই করি না বরং তার জন্য সবকিছু বিব্রতকর করে তুলি। একজন ব্যক্তি যখন পারিপার্শ্বিকতার সাথে মিল রেখে

নিজেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত ভাববে তখন সে হয়ত বিয়ে করার কথা ভাববে, এবিষয়ে পরিচিত বা অপরিচিত মানুষের হস্তক্ষেপ পুরোপুরিই অযৌক্তিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবি মেডিকেলে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স চাই
পরবর্তী নিবন্ধভালোবাসি ভাষাকে